মেসির মত হতে চায় সেই ছেলেটি
নীল-সাদা পলিথিন কেটে মেসির জার্সি বানিয়ে চমকে দিয়েছিল পাঁচ বছরের ক্ষুদে মর্তুজা আহমাদি। আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের অজ-পাড়া গাঁয়ের সেই মেসি ভক্তের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোস্যাল মিডিয়ায়। মেসির কাছেও চলে গিয়েছিল ক্ষুদে ভক্তের খোঁজ। মেসিও বসে নেই। এমন ক্ষুদে ভক্তকে যে বঞ্চিত রাখা যায় না! তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান তিনি নিজেও। ফলে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে সব আয়োজন করা হচ্ছে। ক্ষুদে ভক্তের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন মেসিও।
হ্যাঁ এই ভক্তের অপেক্ষাতেই রয়েছেন এখন মেসি। তিনি যে সাক্ষাৎ করতে চান এবং সেই সাক্ষাতেরও যে সব ব্যবস্থা হচ্ছে, খবরটা বার্সেলোনা থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে আফগান ফুটবল ফেডারেশন হয়ে এখন মর্তুজা আহমাদির বাড়িতেও পৌঁছে গেছে। মেসির সাক্ষাতের খবর শুনে তো আনন্দে আত্মহারা এখন সেই ক্ষুদে বালক।
আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষুদে বালক মর্তুজা আহমাদি বলে, `আমি মেসিকে ভালোবাসি। তার সঙ্গে দেখা করবো আমি, ভাবতেই খুব খুশি লাগছে আমার। আমি তার মত হতে চাই।`
আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে, বার্সেলোনার হোম ভেন্যু, ন্যু ক্যাম্পে গিয়েই মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তার আফগান ক্ষুদে ভক্ত মর্তুজা আহমাদি। আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের মুখপাত্র সাইয়েদ আলি কাজেমি আল জাজিরাকে বলেন, `আমরা মেসির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারাই নিজেদের বালকটির সঙ্গে মেসির সাক্ষাতের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আমরা শুধু মধ্যস্থতা করে দিচ্ছি, তাদের সাক্ষাতের। তবে তারিখ এবং ভেন্যু এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, আফগানিস্তান থেকে বার্সেলোনায় উড়ে যাচ্ছে মর্তুজা আহমাদি, এটা এখন নিশ্চিত।`
মেসি ভক্ত হলেও তার জার্সি কেনার ক্ষমতা নেই মর্তুজার। গরিব পরিবারে জন্ম; কিন্তু প্রিয় খেলোয়াড়ের প্রতি ভালবাসাটা ক্ষুদে এই বালক প্রকাশ করেই ফেলেছে অদ্ভুতভাবে। মর্তুজার বড় ভাই হুমায়ুন। যার বয়স ১৫। তার মাথা থেকেই প্রথমে এই বুদ্ধি আসে। ছোট ভাইয়ের এই আবেগকে যেন আরও একটু উসকে দিতে চেয়েছিল বড় ভাই। সে`ই প্লাস্টিক ব্যাগ কেটে বানিয়ে দেয় জার্সি। মার্কার কলম দিয়ে তাতে লিখে দেয় ১০ নম্বর। সেই পেয়েই খুশিতে আত্মহারা পাঁচ বছরের মেসি ভক্ত।
মেসির বাবা জানিয়েছেন, ‘মেসির কাছে এই খবর ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। সে ওই খুদে ভক্তর জন্য কিছু করতে চায়।’
আইএইচএস