অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন


প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামন কচিকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।

গত ২১ জানুয়ারি নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ মেলেনি। অপহৃত আক্তারুজ্জামান কচি এক্সিম ব্যাংকের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের (সাময়িক বহিষ্কৃত) সিনিয়র সহকারী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার বাড়ি নগরীর শিরোইল মঠপুকুর এলাকায়।

মানববন্ধনে আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী শামীমা জামান বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। মানববন্ধনে বক্তারা অপহরণের ১১ দিন পরও উদ্ধার কাজে তেমন কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন এবং উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের সভাপত্বিতে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- অধ্যাপক একেএম আব্দুল মজিদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী শামীমা জামান। এ সময় বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার দিন ২১ জানুয়ারি অপহরণ হয়েছে বলে আকতারুজ্জামানের বাবা আফছার উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে আক্তারুজ্জামান নগরীর নিউমার্কেটের পশ্চিম সুলতানাবাদ এলাকার একটি গলির মধ্যে নন্দিতা প্রিন্টিং প্রেসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি সাদা মাইক্রোবাস ওই গলির মধ্যে পেছন দিকে গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

এদিকে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরীর গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র সুশান্ত চন্দ্র রায় বলেন, এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে তাকে উদ্ধারে আন্তরিকতার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে ২২ জানুয়ারি দুইদিনের সফরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বিকালে রাজশাহী আসার কথা ছিল। শনিবার সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গভর্নরের মতবিনিময় কর্মসূচিতে আকতারুজ্জামান আমন্ত্রিত ছিলেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন।

গত বছর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ জুলাই তিনি এক্সিম ব্যাংকের চার কর্মকর্তারসহ ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রাশেদ রিন্টু/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।