ভোটার তালিকায় এবারও পুরুষের আধিপত্য
নারী ভোটার বাড়াতে নানা উদ্যোগের পরও নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় পুরুষের আধিপত্য রয়েই গেছে। গত বছরের তুলনায় নারী ভোটারের হার বাড়লেও তা সন্তোষজনক বলে মনে করা হচ্ছে না। আদমশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে পুরুষ-নারীর অনুপাত বা জেন্ডার রেশিওর তুলনায় ভোটার তালিকায় জেন্ডার রেশিও বেশি হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, অনেক নারী ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৩ জন। এরমধ্যে নতুন ভোটার রয়েছেন ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২৭ জন। রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম আসাদুজ্জামানের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নতুন ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন এবং নারী ভোটার ২১ লাখ ২৩২ জন। মোট পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬২ জন এবং নারী ভোটার ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৯১ জন।
মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৫০.৩২ শতাংশ এবং নারী ভোটার ৪৯.৫৮ শতাংশ। ২০১৩-২০১৪ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৫৬ শতাংশ ও ৪৪ শতাংশ। ওই সময়ে নতুন ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫০ জন; যার মধ্যে পুরুষ ছিল ২৬ লাখ ২৯ হাজার ৫০৬ জন আর নারীর সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৪ জন।
সে তুলনায় এবার ভোটার তালিকায় নারী-পুরুষের সংখ্যার ব্যবধান কমলেও তা সন্তোষজনক বলে মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
২০১৫ সালে হালনাগাদে মৃত ভোটার কর্তন করা হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি। পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৯ জন। অন্যদিকে নারী ভোটার ২ লাখ ৫০ হাজার ৭২ জন।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যায় নারী-পুরুষের যে বিভাজন, তার সঙ্গে নতুন ভোটারদের মধ্যকার দৃশ্যমান জেন্ডার গ্যাপের কোনো মিল নেই। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে পুরুষ-নারীর অনুপাত বা জেন্ডার রেশিও ১০০ দশমিক ৩। অর্থাৎ আমাদের দেশে পুরুষ-নারীর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। তাই ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের মধ্যে নারী-পুরুষের মধ্যে যে শতাংশ জেন্ডার গ্যাপ দেখা যায়, তার যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। আসলে অনেক নারী ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
এইচএস/এনএফ/আরআইপি