সোনারগাঁও পৌর নির্বাচন : কারচুপির অভিযোগে মামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট গণনায় কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মাত্র এক ভোটে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা মামলায় জেলা নির্বাচন অফিসার ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চারজন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক উৎপল চৌধুরী।
রোববার নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালত এ মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল জাগো নিউজকে জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়া নাঈম আহম্মেদ, মাইন উদ্দীন মেম্বার, শামীম মীর, আহসান জামিল ভূইয়া, কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার ইয়াছিনুল হক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন অফিসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে।
মামলায় জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে নাঈম আহম্মেদ, মাইন উদ্দীন মেম্বার, শামীম মীর ও আহসান জামিল ভুইয়া কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। যে ওয়ার্ডের কেন্দ্র ছিল গোয়ালদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোট ভোটার ছিল ২৫৮১ জন। মোট ভোট কাস্ট হয় ২১৪২টি।
ওই নির্বাচনের দিন জাহাঙ্গীর আলমের এজেন্টকে অলিখিত রেজাল্ট শিটে ও অন্যান্য অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর নেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই তার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। প্রার্থীরা প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগসাজসিকভাবে অনিয়ম ও কারচুপি করে। এ বিষয়ে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করা হলেও গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের পাঞ্জাবি প্রতীকে ৫৩৮ ভোট ও নাঈম আহম্মেদকে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৫৩৯ ভোট দেখিয়ে বেআইনীভাবে নির্বাচিত দেখানো হয়েছে।
মো. শাহাদাত হোসেন/এমজেড/বিএ