ক্রমেই বাড়ছে খাদ্যবাহিত রোগ
দেশে কলেরা, জন্ডিস, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েডসহ খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে। রোববার মহাখালী রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উদ্যোগে ২০ মাস মেয়াদি পরিচালিত ‘খাদ্যবাহিত রোগ নিরীক্ষণ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান ।
ড. মাহমুদুর রহমান জানান, গবেষণায় চট্টগ্রামে ভিব্রিও কলেরা প্রকোপ অনেক বেশি বলে জানা গেছে। ল্যাবরেটরিতে চার সহস্রাধিক মল নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ শতকরা ২৬ দশমিক শূন্য ৮ ভাগ চট্টগ্রামে পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের পর নওগাঁয় শতকরা ১২ ভাগ ও কক্সবাজারে ৮ দশমিক ১৩ ভাগ ভিব্রিও কলেরার রোগী পাওয়া যায়।
সহস্রাধিক জন্ডিসের রক্ত পরীক্ষার নমুনায় শতকরা ১৯ ভাগ হেপাটাইটিস এ ও শতকরা ১০ ভাগ হেপাটাইটিস ই পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় দেশের ১০টি সরকারি বেসরকারি সেন্টিনেল হাসপাতাল থেকে উক্ত রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে রোগের কারণ নির্ণয় করা হয়। হাসপাতালগুলো হলো ; নরসিংদী সদর, হবিগঞ্জ সদর, কক্সবাজার জেলা, নওগাঁ সদর, পটুয়াখালী জেলা, ঠাকুরগাও সদর, সাতক্ষীরা সদর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতাল।
নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় ইমপ্রোভিং ফুড সেইফটি ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট এর আওতায় ‘খাদ্যবাহিত রোগ নিরীক্ষণ’ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় ডায়রিয়া রোগীর মল পরীক্ষার মাধ্যমে কলেরা, ই-টেক, সালমোনেলা (টাইফয়েড ও প্যারা টাইফয়েড) ও শিজেলা শনাক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া জ্বর ও জন্ডিসের রোগীদের রক্তে লেপ্টোস্পাইরা, সালমোনেলা ও হেপাটাইটিস -এ/ই শনাক্ত হচ্ছে।
এমইউ/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি