রসুনে আগুন, চাল মুরগির দামও বাড়তি


প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

সবজির বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও চালের কেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। মাসের ব্যবধানে মুরগরি দাম দাঁড়িয়েছে কেজিতে ১৫ টাকা বেশি। আর রসুনে রীতি মতো আগুন। ভারতের বড় রসুনের কেজি ১৫০ টাকা। দেশি রসুনের দাম ১২০ টাকা। আগামী সপ্তাহ নাগাদ রসুনের দাম আরেক ধাপ বাড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত বড় সবজিবাজার মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট সরেজমিনে ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, চিচিঙ্গার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা ও ঢেড়স কেজিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, হালি প্রতি লেবু ২০ থেকে ৩৫ টাকা এবং কাচা মরিচের কেজি ৫০ টাকা।

তবে বেগুনে দামে রয়েছে স্বস্তি। প্রতিকেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি ও বাধাকপি পিস প্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, স্কোয়াচ ৫০ টাকা কেজি, গাজর ও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মিষ্টি আলু ৪০ টাকা, লাল ও নতুন দেশি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা এবং লাউ পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

ধনে পাতা কেজি ৬০ টাকা হলেও পুদিনা পাতায় যেন লেগেছে আগুন। কেজি ১৫০ টাকা। কচু ডাটা ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা। ডাটা ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫ টাকা আটি। লাল শাক আটি ৫ টাকা। পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ছোট ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা। পিয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা। শুকনা মরিচ ২১০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০, ইন্ডিয়ান মসুর ৯০ টাকা, মুগ ডাল ১০০ এবং বুট ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মুরগির মাংসের বেড়েছে দাম, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির কেজি সাড়ে ৩শ` টাকা। গরুর মাংসের দাম কেজি ৩৮৫ থেকে ৪২০ টাকা, খাসি ৫৫০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে মুরগির ডিমের। এক ডজন ডিম ১০০ টাকা। হালিতে ৩৪ টাকা, হাঁসের ডিম ৪৮ টাকা হালিতে মিলছে।
 
প্রকারভেদে মাছের দামেও রয়েছে পার্থক্য। প্রতি কেজি বড় আকারের কাতল মাছের দাম ৩৬০-৪০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, বড় টেংরা ৬০০ টাকা, বাটা ২০০-২২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি। কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাসের দাম কিছুটা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, তবে বড় পাঙ্গাসের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।

সিলভার কার্প ১৫০-১৮০ টাকা, মাঝারি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩৫০। মাঝারি আকারের জোড়া ইলিশ ১২শ` টাকা থেকে ১৫শ` টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পুটি মাছ কেজি ৪০০ টাকা, বোয়াল ২০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, চিতলের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গছি মাছের দাম আকাশ ছোয়াই রয়ে গেছে, কেজি ১২০০ টাকা।

স্থিতিশীল রয়েছে চিনির বাজার। দেশি চিনি প্রতি কেজি ৪০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, প্যাকেটের আটা ২ কেজি ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দামে লিটারে কমেছে ৫ টাকা। রুপচাঁদা ১০১ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৯৬ টাকা। অন্যান্য সয়াবিন তেল ৯৬ থেকে কমে হয়েছে ৯২ টাকা।
 
মিনিকেট চালের প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, লতা চাল ৪২ টাকা, স্বর্ণা ৩৬-৩৮ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৩৬-৪২ টাকা, ঊনত্রিশ ৪০ -৪১ টাকা, পোলাও চাল ৮৫ থেকে ৯০০ টাকা দরে মিলছে।
 
হেদায়েতুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, “পাইকারিতে কম না পেলে খুচরায় কেমনে কমে বিক্রি করব বলেন। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম আরো বাড়তে পারে।”

মাংস বিক্রেতা আনারুল ইসলাম বলেন, “মুরগির বাচ্চা কেনার সময়ই দাম বেশি পড়ছে। তাছাড়া মুরগির খাদ্যের দামও বেশি। পোষাতে হলে দাম একটু বেশি নিতেই হচ্ছে।”

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন জানান, সবজিতে স্বস্তি মিললেও মাংসে স্বস্তি নেই। দেশি মাছও নাগালের মধ্যে নেই দাম।

জেইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।