শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চল


প্রকাশিত: ০৬:৪৮ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীসহ আশেপাশের জেলাসমূহ সকাল থেকে চারিদিক ঢাকা পড়ে। গত ২দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না।

ডিমলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার তিস্তা অববাহিকার ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল ৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। শনিবার ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল (বিকাল ৩টায়) ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ার কারণে এলাকায় তীব্র শীতের পাশাপাশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে বলে জানায় ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান।

ভারতের হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় চারদিক থেকে ধেয়ে আসছে শীতের সাঁড়াশি আক্রমণ। শৈত্যপ্রবাহ দিনদিন বেড়েই চলছে আর থরথরে কাঁপছে উত্তর জনপথের মানুষজন। প্রচণ্ড শীতের দাপটে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার উত্তরী হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর সূত্র মতে, নীলফামারী জেলায় ২৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সংগঠন, জেলা প্রশাসক, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

নীলফামারীর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে ১হাজার ৫শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শীতের তীব্রতা সন্ধ্যায় শুরু হয়ে রাত যতই গভীর হয় ততই বাড়তে থাকে। গত তিনদিন ধরে অতিমাত্রায় শীতের কারণে একটু উষ্ণতার জন্য এ অঞ্চলের গরিব অসহায় মানুষজন আগুনের কুণ্ডলি জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের কুণ্ডলি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে অসহায় জনগোষ্ঠী। বেশি বিপাকে পড়েছে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া শীতজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্লোড ডাইরিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষজন ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তিস্তাপাড়ের মানুষজন বলছে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে হাটবাজার লোকশুন্য হয়ে পড়ে।

জাহেদুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।