ড্রাইভার-কেয়ারটেকারকে নিয়ে ব্যাংককে তামিম
ক্রিকেটের বাইরে ক্রিকেটাররা কেমন মানুষ! জানতে মন চায় সব ভক্তেরই। সাকিব-তামিমদের নিয়ে অনেক কথাই তো শোনে সাধারণ মানুষ। তবে দিন শেষে তারাও যে আট-দশজনের মত একজন মানুষ, সেটাই তারা বার বার প্রমাণ দেন। বিসিবিতে গ্রাউন্ডসম্যান, বিভিন্ন স্টাফদের সঙ্গে তামিম ইকবালের অসাধারণ ব্যবহারের কথা আগে থেকেই জানা ছিল। অনুশীলন করতে গিয়ে মাঠে ছক্কা ছক্কা খেলতে গিয়ে লাখ টাকার ওপরও গ্রাউন্ডস্টাফদের বখশিশ দিয়েছিলেন তামিম।
এবার যেন আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। বাসা থেকে মাঠ, মাঠ থেকে হোটেল কিংবা অন্য যে কোন জায়গাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তামিমের সফরকে যিনি সহজ করে দেন, কিংবা পরিবারের সদস্যরা যার জন্য নিরাপদে ঘুমাতে পারে, সেই ড্রাইভার এবং বাড়ির কেয়ারটেকার সুমন ও জাকিরকে নিয়ে সোজা থাইল্যান্ডের রাজধানি ব্যাংকক চলে গেলেন তামিম ইকবাল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেই চলে গেলেন চট্টগ্রাম। সেখান থেকে ড্রাইভার এবং কেয়ারটেকারকে নিয়ে সোজা উড়াল দিলেন ব্যাংককের উদ্দেশ্যে। সেই দুইজন, কেয়ারটেকার এবং ড্রাইভারের সঙ্গে একটি ছবি তুলে তামিম নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। সেখানেই তিনি তাদের পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই ব্যাংককে নিয়ে আসলেন এই দু’জনকে।
আসল ঘটনা হলো, জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলাকালেই তামিম জানিয়েছিলেন, প্রথমবারের মত জনক হচ্ছেন তিনি। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে তামিমের মা ইতিমধ্যে চলে গেছেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। সেখানেই জন্ম নেবে তামিমের সন্তান। সিরিজ চলার কারণে, মা আর স্ত্রীর সঙ্গে যেতে পারেননি তামিম। সিরিজ শেষে গেলেন তিনি। সঙ্গে নিলেন অতি বিশ্বস্ত দুই কর্মচারীকে।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তামিম দুজনের সঙ্গে এক ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এরা সুমন ও জাকির। সুমন, যিনি আমাকে পুরো শহরে গাড়িতে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ান। জাকির বাড়ির দেখাশোনা করেন। সহজ কথায় হচ্ছে, সুমন আমার ড্রাইভার এবং জাকির আমার বাড়ির কেয়ারটেকার। তাদের নিত্য উপস্থিতি এবং সহযোগিতা আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে।’
সেখানেই তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমরা অনেকেই চারপাশের এমন কিছু মানুষ, ড্রাইভার, পরিচারিকা, বাবুর্চি এবং কেয়ারটেকার ইত্যাদিদের সহযোগিতায় চলি। আমাদেরও দায়িত্ব তাদেরকে সচ্ছল রাখা, একই সঙ্গে তাদের কাজের প্রশংসা করা। ব্যাপারটি বুঝতে পারার পরই, আমি জাকির ও সুমনকে আমার সঙ্গে ব্যাংককে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছি। এখনো বিশ্বাস করতেই পারছে না যে, তারা দেশের বাইরে ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। তারা খুবই উচ্ছ্বাসিত। তাদের উচ্ছ্বাসটা ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদেরও। তাদের দেখে আমিও একই রকম উচ্ছ্বাসিত।’
আইএইচএস/আরআইপি