কালীগঞ্জে তাঁতীলীগ নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি


প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে মিরেরটেক গ্রামে শনিবার রাতে এক ভূমি কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ঠিক একদিন পর আবারও একই উপজেলায় এক তাঁতীলীগ নেতার বাড়িতে আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ওই উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের কুলথুন গ্রামে তাঁতীলীগ নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংগঠিত ওই ডাকাতির ঘটনায় স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে দাবি তাঁতীলীগ নেতার পরিবারের। ডাকাতি কালে বাধা দেয়ায় এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করা হয়েছে ওই তাঁতীলীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেন খানকে (৪৮)।

তিনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক। আর ডাকাতির ওই ঘটনায় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আসলে এটা ডাকাতি কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

তাঁতীলীগ নেতার ছেলে সজিব হোসেন খান (২৩) জাগো নিউজকে জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ১৫/১৬ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে ৮/১০ জন ডাকাত মূল কলাপসিপল গেইটের তালা ভেঙে তাদের ঘরে ঢুকে বাবা ইকবাল, মা শামীমা বেগম (৪২), স্ত্রী তনিমা (১৯), ছোট বোন মুর্শিদা (১৬) ও তামান্নার (১৫) হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৯টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। আর এতে সজিবের বাবা তাঁতীলীগ নেতা ইকবাল বাধা দিলে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

তিনি জানান, ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের কোপে তার বাবার ডান হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ প্রায় আলাদা হয়ে গেছে। তাছাড়া শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন তো রয়েছেই। তাকে জরুরীভাবে ঢাকার অর্থোপেডিক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।   

সজিব আরও জানান, ঘরের বাইরে থাকা ডাকাত দলের ৫/৬ সদস্য বাড়িতে থাকা মোটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। কিন্তু প্রতিবেশীরা মোটর সাইকেলের শব্দ শুনে ছুটে এলে ডাকাত দলের সবাই মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ৯টার দিকে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও ১০টার দিকে ওই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, জাঙ্গালীয়ায় ডাকাতির একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা তদন্ত করছি। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব না। আপনি চাইলে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।   
 
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আসলে এটা ডাকাতি কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। থানা পুলিশের উপ-পরদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে, এর আগে কিছুই বলা সম্ভব না।  

আব্দুর রহমান আরমান/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।