ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় খুবই কষ্ট পেয়েছি : ওস্তাদ রশিদ খান


প্রকাশিত: ০৫:৫১ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গনে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান। শুক্রবার ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া ‘ওস্তাদ রশিদ খান : অ্যাটাক অন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ইজ শকিং’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা উপমহাদেশের সংস্কৃতির ওপর এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত। এ ঘটনা শোনার পর দুঃখ ও ক্ষোভ  প্রকাশ করেছেন ওস্তাদ রশিদ খান। তিনি বলেন, আমি জানি না; মানুষ এতোটা নিচে নামতে পারে কীভাবে, যেখানে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে।

এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন শতাধিক মাদরাসা শিক্ষার্থী সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ আরো বেশ কিছু দুর্লভ জিনিস আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের ব্যাংক এশিয়া, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এবং জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও।

গত বছর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীতে অংশ নেন ওস্তাদ রশিদ খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, গত নভেম্বরে আমি ঢাকায় উচ্চাঙ্গ সংগীত অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছি, যেখানে প্রায় ৬০ হাজার দর্শক-শ্রোতা কনসার্টে এসেছিল। আমি নিশ্চিত, যারা শিল্প ভালোবাসেন তারা এতো নৃশংস কোনো কিছু করতে পারেন না।

ওস্তাদ রশিদ খান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যা ঘটেছে তা মৌলবাদীরা করতে পারে। তবে ধার্মিক লোকেরাও সংগীত ভালোবাসে। আমি দেখেছি, কলকাতায় গুলাম আলী ভাইয়ের কনসার্টে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম কীভাবে অংশ নিতে এসেছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একটি কনসার্ট আয়োজনের মাধ্যমে খুব ভালো একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শিল্প ও শিল্পীদের তিনি যে সম্মান দিয়েছেন তাতে আমরা খুবই খুশি। এমন সময় বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি খু্বই কষ্ট পেয়েছি।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।