হত্যাকাণ্ডের সংবাদ শোনার এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ


প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

নারায়ণগঞ্জের শহরের ২নং বাবুরাইলে একটি ফ্ল্যাটে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যার ঘটনার সংবাদে সদর থানা পুলিশকে ফোন করা হলে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে ডিউটি অফিসার ফোনটি কেটে দেন। মৃত্যুর সংবাদের এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে বলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি সাংবাদিকদের এমন কথা জানিয়েছেন।

তারা জানান, পুলিশের কাছে থেকে সাধারণ মানুষ সহজেই সহযোগিতা পায় না। হয় শুধু হয়রানির শিকার। পুলিশ জনগণের বন্ধু এমন কথা পুলিশ প্রচার করলেও কাজে ঘটছে উল্টো। পুলিশ টাকা ছাড়া জনগণকে কখনই সেবা দেয় না। যেমনটা ঘটেছে পাঁচজনকে হত্যার সংবাদ দিতে গিয়ে গুরুত্ব না পাওয়া।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাঁচজনকে গলাকেটে হত্যা করে দৃর্বত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর এলাকায় ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসারের টেলিফোনে কল দিয়ে সংবাদ দেয়ার চেষ্টা করা হলেও পুলিশ কোনো গুরুত্ব না দিয়ে ফোনটি কেটে দেয়। ঘটনার সংবাদের এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে থানা বেশি একটি দূরত্ব না হলেও আসতে লাগলেও এক ঘণ্টা। পুলিশের ভূমিকা যদি এমন হয় তাহলে জনগণ পুলিশের কাছে কী আশা করতে পারেন।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী আরো জানান, স্থানীয় এমপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে থাকেন অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকামোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাটে একই পরিবারের পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোটভাই মোরশেদুল (২২) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।

তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরভেলাবাড়ি। তারা শহরের বাবুরাইল ২নং এলাকার খানকামোড় এলাকার আমেরিকা প্রবাসী ইসমাইলের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।