নিষ্প্রাণ টেস্টে ওয়ার্নারের রোমাঞ্চ
বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছিল পুরো দুটি দিন। তার আগের দিনও বল গড়িয়েছিল মাত্র ৬৮টি। তার আগে প্রথমদিন খেলা হয়নি ১৫ ওভারের। তবে সিডনি টেস্টের পঞ্চম দিন এসে বল মাঠে গড়ালো। দর্শকদের জন্য ফ্রি করে দেয়া হয়েছিল গ্যালারিতে প্রবেশ। সুতরাং, শেষ দিন মাঠে দর্শকের আগমণও ঘটেছিল উল্লেখযোগ্য হারে। শেষ দিনটা শুধু ছিল আনুষ্ঠানিকতার। টেস্টটা যে নিষ্প্রান ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ ছিল না।
তবে কে জানতো, শেষ দিনের ম্যাড়ম্যাড়ে ভাবকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেবেন ডেভিড ওয়ার্নার! যে ঝড় চারদিন ধরে সিডনির আকাশকে গোমড়া করে রেখেছিল, সেটা এক নিমিষেই ভারত মহাসাগরে মিশে গেলো ওয়ার্নারের ব্যাটের ঝড়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৩০ রানে অলআউট করার পর মাত্র ৩৮ ওভার খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তাতেই অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
এমনিতেই হার্ডহিটার হিসেবে বেশ নাম-ডাক রয়েছে তার। তবুও টেস্ট বলে কথা। একটু রয়ে-সয়ে খেলাই যে এখানে নিয়ম। কিন্তু না। সময় অল্প, হাতে ওভার কম। সুতরাং, সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিটা এখান থেকেই না হয়ে সেরে নেয়া যাক! এ মানসিকতা থেকেই হয়তো মারমুখি হলেন ওয়ার্নার। ৮২ বলে পূরণ করলেন সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে ১৬তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন অসি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ১০৩ বলে ১২২ রান করে।
ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৩৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ভাগ্য ভালোই বলতে হবে ওয়ার্নারের। মাঝে দু’বার বৃষ্টি হানা দিলেও পরে বল মাঠে গড়াতে সক্ষম হয়। না হয়, মাঠে আসা দর্শকদের ওয়ার্নার ঝড় দেখা থেকেই বঞ্চিত হতে হতো।
৭ উইকেট ২৪৮ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনেশ রামদিন ছিলেন ৩০ এবং কেমার রোচ ছিলেন শূন্য রানে অপরাজিত। রোচ ১৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও রামদিন ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে তবেই আউট হন। এ সময় তার ব্যাক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৬২। অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনার নাথান লায়ন এবং স্টিভেন ও’কেপি নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন জেমস প্যাটিনসন। ১টা নেন হ্যাজলউড।
টেস্টটা নিষ্প্রাণ ড্র হলেও, সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়াই। ব্রিসবেন এবং হোবার্টে আগের দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল স্টিভেন স্মিথের দল। ফলে ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফিটা উঠলো অসিদের হাতেই।
আইএইচএস