অফিসার্স ক্লাব নির্বাচন : স্বস্তিতে নেই সচিবরা!
সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব ঢাকার কার্যনির্বাহী কমিটির (২০১৬-২০১৭) নির্বাচন ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্যসহ ২২ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪২ সরকারি কর্মকর্তা।
প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান দায়িত্বরত তিন সচিবসহ বেশ কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা গেছে, ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা পাঁচ হাজার তিনশ। এর মধ্যে চলতি বছর মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার চারশ ৬১ জন।
ক্লাব সদস্য ও একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। গত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রার্থীদের অনেকেই ভোটারদের কাছে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিচ্ছেন।
এছাড়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সশরীরে হাজির এবং নিয়মিত ক্লাবে আড্ডাকালে দোয়া (ভোট) চাইছেন।
সরকারের সচিবরা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক হলেও ভোটে প্রার্থী হয়ে তারাও স্বস্তিতে নেই। তারা নিজেরা ও তাদের পক্ষে অনেক কর্মকর্তা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, সংবিধান অনুসারে সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো.শফিউল আলম ক্লাবের সভাপতি। এ পদে কখনও নির্বাচন হয় না। সহ-সভাপতি পদের সংখ্যা মোট তিনটি। এ তিন পদের বিপরীতে মোট সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সচিব কাদের সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব আকতারি মমতাজ ও কে এম মোজাম্মেল হক (সচিব), অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা, খালিদ মাহমুদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম এ রাজেক ও প্রফেসর ডা. মো মোজাহেরুল হক।
সাধারণ সম্পাদকের একটি পদে লড়ছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইবরাহিম হোসেন খান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনসার আলী খান।
কোষাধ্যক্ষের একটি পদে লড়ছেন যুগ্ম কর কমিশনার ব্যারিষ্টার মোতাসিন বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব (প্রশাসন) আবদুল মান্নান। যুগ্ম সম্পাদকের তিন পদের বিপরীতে লড়ছেন পাঁচজন। তারা হলেন কর কমিশনার নাহার ফেরদৌসি ঝর্ণা, ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসি খান, খন্দকার মোস্তান হোসেন, ( ডা. মো. আমিনুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) ও আবদুল মান্নান ইলিয়াস (যুগ্ম সচিব)।
সদস্যপদের ১৪ পদের বিপরীতে মোট ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- ডা. মো. এমদাদুল হক , এম এ মজিদ, আবদুল মান্নান, ডা. মনিলাল আইচ লিটু, এম এম ফজলুল হক আরিফ, সিরাজুল ইসলাম , বিএম এনামুল হক, আশরাফুন নেছা খান রোজি, শামসুর রহমান খান, ডা. সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর, মো. মাহফুজুর রহমান, মনসুরুল আলম, রওশন আরা জামান, আবুল খায়ের মো. হাফিজুল্লাহ খান, মো. আবদুর রশীদ, মো. আকতারুজ্জামান, সালমা জাহান, আসমা সিদ্দিকা মিলি, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল মজিদ, নারায়ন চন্দ্র শীল, মো. আলমগীর হোসেন, স. ম গোলাম কিবরিয়া, শেখ ইউসুফ হারুন, রথীন্দ্রনাথ দত্ত, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তানিয়া খান।
সদস্য পদে প্রার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডিজি শেখ ইউসুফ হারুন ও এপিএস মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ কর্মকর্তা আসমা সিদ্দিকা মিলি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালক রওশন আরা জামান, ঢাকা কলেজের অধ্যাপক আশরাফুননেছা খান রোজির নাম বেশি প্রচার পাচ্ছে।
এমইউ/এএইচ/আরআইপি