আ.লীগে বিদ্রোহী, বিএনপিতে সমন্বয়হীনতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে চলছে নানামুখী হিসেব নিকেশ। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আর বিএনপির সমন্বয়হীনতায় ঘোলাটে হয়ে গেছে ভোটের হিসাব। এমনই মতামত সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি উভয় দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনে `নৌকা` প্রতীক নিয়ে বর্তমান মেয়র আনছার আলী বি.কম, `নারিকেল গাছ` প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগ বিদ্রোহী) হুমায়ূন খালিদ, `ধানের শীষ` প্রতীক নিয়ে সাবেক মেয়র আলী আকবর জব্বার, `জগ` প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শহীদ মেয়র পদে লড়ছেন।

১৭টি গ্রাম নিয়ে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কালিহাতী পৌরসভার মোট ভোটার ২৪ হাজার ৮৪৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১৬৭ আর নারী ভোটার ১২ হাজার ৬৮০ জন।

মূলত হাড্ডাহাড্ডি ভোট যুদ্ধটি `নৌকা` ও `ধানের শীষ` প্রতীকের মধ্যে হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী উভয় প্রার্থীরাই মাথা ব্যাথার কারণ `নারিকেল গাছ` প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ূন খালিদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ূন খালিদের নিজ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৭৪৫।

কবর জব্বারের অন্যতম ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এরকম ঘোলাটে পরিস্থিতিতে জোটের নেতা-কর্মীরা সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করেছেন `ধানের শীষ` প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সাবেক মেয়র আলী আকবর জব্বারের প্রতি।

ইতোমধ্যে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কুয়াশা-ঢাকা ভোর হতে কনকনে শীতের মধ্যরাত পর্যন্ত ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, কাউন্সিলর পদে ৫০ জন প্রার্থী।

প্রচারণায় নতুন মাত্রা পেয়েছে মনকাড়া গানের সুরে সুরে মাইকিং। ব্যানার, পোস্টার ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। এতে ভোটাররাও বেশ আনন্দিত, তবে অনেকে আবার শঙ্কিতও নিজের ভোটটি নিজেই দেয়ার ব্যাপারে।

সচেতন অনেকেই মনে করছেন প্রথমবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়াতে অনেক ভোটারই দলমতের ঊর্ধ্বে পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে দ্বিধাগ্রস্ত।

বিগত ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিজ নিজ কেন্দ্র বাদে আনছার আলী বি.কম পেয়েছিলেন ৩৯.৭% ও আলী আকবর জব্বার পেয়েছিলেন ৪৪.৪% ভোট। প্রতিবারের মতো এবারও মুখ্য বিষয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকার ভোটাররা।

কালিহাতীবাসী অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন তাদের ভবিষৎ পৌর-পিতার জন্য।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।