ঝিনাইদহে সংযোগ সড়কের অভাবে ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত কাশীপুর ব্রিজের দুই পাশে কোনো রাস্তা তৈরি না হওয়ায় ব্রিজটি কোনো কাজে আসছে না। বিগত ২০০২-০৩ অর্থ বছরে ৬০.০৫ মিটার ব্রিজটির কাজ শেষ হলেও, মাত্র চার কিলোমিটার সংযোগ সড়কের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রাম ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নবগঙ্গা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের উভয় পাশে পাকা সড়ক নির্মাণ না করায় এক যুক পেরিয়ে গেলেও কোনো কাজেই আসেনি ব্রিজটি। এখন এটি শুধু ধান ও পাট শুকানোর কাজেই ব্যবহৃত হয়।

Jhenidah-bridge

মাত্র চার কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। বর্ষাকাল এলে গ্রাম থেকে উৎপাদিত খাদ্যশস্য, পান, সবজি, পাট বক্রি করতে নিয়ে যেতে পারেন না গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে নাটাবাড়ীয়া গ্রামের নারী ইউনিয়ন সদস্য লিলি খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামবাসীরা সমস্যা পোহাতে পোহাতে খুবই ক্ষুদ্ধ। নিরুপায় হয়ে এলাকার দশ গ্রামের মানুষ আন্দোলন করার কথা ভাবছেন।

সাবেক ইউপি সদস্য সাদ আহাম্মেদ বলেন,  ব্রীজের দুই পাশের ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাঁকা করে চলাচল যোগ্য করা হোক। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় পানি কাঁদায়। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়। ডিজিটাল যুগে যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ব্রিজটি উঁচু হওয়ায় মাঝে মধ্যে ঘটে ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা। সরকার যায় সাংসদ বদলায়, কিন্তু দুর্দশা কাটে না নাটাবাড়ীয়া, দারীয়াপুর, পলেনপুর, রূপদা,বিনোদপুর, কাশীপুর, শাখারিদহসহ আশপাশের গ্রামবাসীর।

Jhenidah-bridge

নাটাবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি এই ব্রিজ ও ব্রিজের দু`দিকের পাকা রাস্তা নির্মাণ। কিন্তু ১২ বছরেও তা পূরণ হয়নি। রাজনীতিবিদরা অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তারা তাদের কথা রাখেননি।

হলিধানী বাজার কমিটির সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ দুর্ভোগ লাঘবে আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই।

ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রকিব উল আলম জাগো নিউজকে বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে চলাচলের পথ এবং দুই পাশের রাস্তা নির্মাণ করে জনগণের দুর্ভোগ কমানো হবে।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।