মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে দেহ স্বাস্থ্যের সর্ম্পক


প্রকাশিত: ০৬:১০ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। মূলত সুস্বাস্থ্যই পারে মানুষকে প্রকৃত সুখী করতে। তাই নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে পাশিপাশি প্রয়োজন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নিয়মিত পরিচর্যা। যার মধ্যে মুখের স্বাস্থ্য অন্যতম। বিভিন্ন গবেষণা তথ্য থেকে জানা যায় মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দেহের অন্যতম প্রধান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে দেহের স্বাস্থ্য নিবির সর্ম্পকযুক্ত। চলুন জেনে নেয়া যাক মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে দেহের স্বাস্থ্যের সর্ম্পক।

হৃদরোগ
ডেন্টাল প্লাক থেকে সৃষ্ট মাড়িতে যে প্রদাহ সৃষ্ট হয় তা রক্তের মাধ্যমে শরীরে হৃদরোগ সৃষ্টি হতে পারে। কারণ মাড়ির রোগ ও হৃদরোগ দু`টি প্রদাহজনিত কারণে হয়ে থাকে।

আলজিমারস রোগ
গবেষণায় মুখের রোগের সঙ্গে আলজিমারস রোগের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। মুখের প্রদাহে যে সমস্ত জীবাণুর অস্তিত্ব রয়েছে ঠিক সেই সমস্ত জীবাণুই আলজিমারস রোগীর ব্লাড প্লাজমাতে পাওয়া যায়। গবেষকদের অভিমত, যাদের দীর্ঘদিন মাড়ির প্রদাহ থাকে তাদের কগনেটিভ ডিসফাংশন হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ
যে সমস্ত জীবাণু মাড়ির আক্রান্ত স্থানে থাকে ঠিক সে সমস্ত জীবাণু ফুসফুস প্রদাহ সৃষ্টির জন্য দায়ী। দীর্ঘ দিন মাড়িতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে ফুসফুসেও তা ছড়িয়ে যেতে পারে। ফলে শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

মানসিক ভারসাম্যহীনতা
দাঁতের বা মুখের সমস্যায় মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। যা রোগীর সামাজিক মর্যাদা ও ব্যাক্তিত্বের ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়।

হজমের সমস্যা
হজমের সমস্যায় কম বেশি অনেকেই পড়ে থাকেন। তবে দাঁতের ব্যথা বা মুখের অন্যান্য অসুস্থতার কারণে নিয়মিত আহার ও খাদ্যসমূহ পরিপূর্ণভাবে চিবুতে না পারায় হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বুক জ্বলা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

এছাড়াও পান-পাতা বা তামাক জাত দ্রব্য গ্রহণের ফলে মুখ গহ্বরে ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এখন প্রায়ই শোনা যায়। অর্থাৎ প্রকৃত সুখী হতে চাইলে মুখের স্বাস্থ্যের কোনো বিকল্প নেই।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।