সংস্কৃতির মাধ্যমেই বোমাবাজদের রুখে দেয়া হবে
‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প-সংস্কৃতি’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ১৫ দিনব্যাপি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সরকারের এই দুই মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমান সরকারের উদারনীতি ও সহযোগিতার কারণে চলচ্চিত্র শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলচিত্র তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র খাতকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র আরও বেশি করে নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বোমা হামলা করে দেশের সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সংস্কৃতির মাধ্যমেই বোমাবাজ-জঙ্গিবাদিদের রুখে দেয়া হবে। তিনি বলেন, সংস্কৃতিমনা মানুষকে তার সংস্কৃতি লালন থেকে দূরে রাখা যাবে না। সরকার বোমা হামলাকারী-নাশকতাকারীদের ধরে আইনের মুখোমুখি করছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহিৃত করে সরকার শক্ত হাতে দমন করবে। একটি চক্র বাংলাদেশের চলচ্চিত্র খাতকে ধ্বংস করতে চায়। তাই তারা বোমা হামলা করে দর্শকদের হল থেকে দূরে রাখতে চায়। এসব চক্রান্ত কোনো দিন সফল হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাউদ্দিন যাকি, মশিউদ্দিন সরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতীয়ভাবে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের পরপরই স্থানীয়ভাবে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়ভাবে আয়োজিত উদ্বোধনী পর্বে জেলা কালচারাল অফিসার অসিতবরণ দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন ও তথ্যচিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নিরঞ্জন দে যাদু প্রমুখ।
স্থানীয় উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ’মাটির ময়না’। ১৫ দিনব্যাপি এই উৎসবে প্রতিদিন বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় দুইটি করে চলচিত্র প্রর্দশিত হবে।
ছামির মাহমুদ/বিএ