যশোর পৌরসভার ৪ মেয়র প্রার্থীই ব্যবসায়ী


প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

যশোর পৌরসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নামা চার প্রার্থীই পেশায় ব্যবসায়ী। আর তাদের বার্ষিক আয় পৌনে দু’কোটি টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। আর তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসিতেই সীমাবদ্ধ।

রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেয়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত হলফনামায় এসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন প্রার্থীরা।

যশোর পৌরসভার চার মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত জহিরুল ইসলাম চাকলাদার এসএসসি পাস ও পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি চাকলাদার কন্সট্রাকশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান, মেসার্স কপোতাক্ষী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার, কপোতাক্ষ ফিড লিমিটেড ও নক্ষত্র স্বপ্ন ফুড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গরীবশাহ স্টোন ইন্ডাস্ট্রিজের রয়েছে যৌথ ব্যবসা।

বার্ষিক আয় কৃষি খাতে ২ লাখ টাকা এবং ব্যবসায় আয় ১ কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ৩০৮ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে দু’কোটি টাকা তার বার্ষিক আয়। স্বামী ও স্ত্রীর স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের বিস্তারিত তথ্যও তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। জহিরুল ইসলাম চাকলাদারের নামে কোনো মামলা নেই বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত মেয়র মারুফুল ইসলামের এইএসসি পাস এবং পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি কমিশন এজেন্ট ও সাধারণ ব্যবসায়ী। তার বার্ষিক আয় ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৪ টাকা। এরমধ্যে বাড়িভাড়া বাবদ ১লাখ ৫১ হাজার ২শ` টাকা, ব্যবসায় ৫৯ লাখ ২৫ হাজার ৪শ` টাকা। এছাড়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও অন্যান্য আয় ১৭ হাজার ২৪৪ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ হলফনামা তুলে ধরা হয়েছে।

চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মারুফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এসএস কামরুজ্জামান চুন্নুর হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রত্যাশা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তিনি এইচএসসি পাস এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।

ইসলামী আন্দোলন মনোনীত মোহাম্মদ আলী এইচএসসি পাস ও পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মৌসুমী মেশিনারি। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় এক লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধেও কোনো মামলা নেই। স্বামী ও স্ত্রীর নামে অস্থাবর স্থাবর সম্পদের বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।

মিলন রহমান/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।