কালকিনি মুক্ত দিবস আজ


প্রকাশিত: ০২:৫৫ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

আজ ৮ ডিসেম্বর। মাদারীপুরের কালকিনি মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কালকিনি ত্যাগ করতে বাধ্য হয় পাক হানাদার বাহিনী।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে কালকিনি উপজেলার ৫ জন কমান্ডারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কালকিনি উপজেলার সিডিখান, এনায়েতনগর, সমিতিরহাট ছাড়াও বরিশালের গৌরনদী ও মুলাদী উপজেলা ও কালকিনির সীমান্তবর্তী ৩টি স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকবাহিনীকে পরাস্ত করেন। পরে ৮ ডিসেম্বর কালকিনি উপজেলা মুক্ত হয়।

Madaripur

বর্তমান সরকার মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করায় দেশ আজ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে কালকিনি ও আশপাশের রাজাকার-আলবদরদের বিচার কাজ শুরু করে বিজয়ের মাসেই কালকিনির পাপমোচন করার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, যুদ্ধের সময় ভূরঘাটার পাশে একটি ব্রিজের কাছে মানুষ ধরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিতো পাকবাহিনী। ব্রিজের নিচের পানি মানুষের লাল রক্তে রঞ্জিত হওয়ায় পরে এই ব্রিজের নাম হয় লালপোল বা লালব্রিজ যা এখনও মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত।

Madaripur

কালকিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আ. মালেক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বলেই আজ বাংলাদেশ হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আটকে পরা পাকবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ২২ দিন যুদ্ধ হয় বরিশালের গৌরনদীর এলাকায়। সেখানেও অংশগ্রহণ করে মাদারীপুরের কালকিনির মুক্তিযোদ্ধারা। বর্তমান সরকার মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করায় দেশ আজ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে।

Madaripur

মাদারীপুর  কালকিনি উপজেলা কমান্ডার জলিল আকন বলেন , বিজয়ের মাসেই কালকিনির পাপমোচন করার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের। স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও সরকারিভাবে বা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে কালকিনি মুক্ত দিবস পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।

নাসিরুল হক/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।