প্রার্থীদেরকে গ্রেফতার করে প্রতিযোগিতার মাঠ নষ্ট করছে সরকার


প্রকাশিত: ০৭:১১ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫

বিএনপি প্রার্থীদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করে পৌরসভা নির্বাচনে সরকার প্রতিযোগিতার মাঠ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছের দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, নান্দাইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আজিজুল ইসলাম পিকুসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে প্রার্থীদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে।

রিপন বলেন, বিএনপির প্রার্থীদেরকে এভাবে গ্রেফতার করলে প্রতিযোগিতার মাঠ নষ্ট হবে। ফলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ৫ জানুয়ারির মতো একদলীয় নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিএনপির দাবি অনুয়ায়ী নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিলে ৫০ লক্ষ ভোটার ভোট প্রদানের সুযোগ পেত কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ দাবিকে তোয়াক্কা করেনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করার সামর্থ্য নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই হারিয়েছে। সরকারের ক্ষমতার কাছে নতজানু হয়েছে। দেশি-বিদেশি মহলে অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।

রিপন বলেন, ইসি ইশারায় চলছে। এটা এক দিকে তাকানো নির্বাচন কমিশন। তারা কেবল সরকারের দিকেই তাকিয়ে থাকে। তারপরও মেনে নিয়েছি কারণ ছেলে কানা হলেও অস্বীকার করা যায় না।

নির্বাচন কমিশনের তারিখ না পেছানোর যুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাবলীগ জামাতের যুক্তি মেনে নেয়া যায় কিন্তু পরীক্ষার যুক্তিটা অগ্রহণযোগ্য। তারিখ পিছিয়ে সুযোগ দিলে ৫০ লক্ষ ভোটার ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেন।

তিনি বলেন, দাবি করোছিলাম যারা অংশ নেবে তাদেরকে যাতে গ্রেফতার করা না হয়। কারণ গ্রেফতার করার কারণে নির্বাচনে প্রতিযোগিতা না হয়ে একপেশে হবে। কিন্তু গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখা হলে নীল নকশার নির্বাচন বলে ফের প্রমাণিত হবে।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করলে ৫ জানুয়ারির তকমা থেকে বেরিয়ে অাসার সুযোগ পেতেন কিন্তু সে রকম সদিচ্ছা দেখা যায়নি।

রিপন বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেমে নেই। মানুষ মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।
চোখ বন্ধ করে রাখলে প্রলয় বন্ধ হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি নেতা রমজান অালীসহ যারা বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা স্বীকার হয়েছেন এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদেরকে নানা হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করার জন্য আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে অংশ নেয়া উচিত তাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। । কেন নির্বাচনে যাচ্ছি তাও ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহীন।

এমএম/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।