কাইয়ুম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত: ০২:৪৯ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের এই দিনে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব মঞ্চে বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

দীর্ঘ ৬০ বছরের নিরলস চিত্রসাধনার মধ্য দিয়ে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন এ দেশের শীর্ষ শিল্পীদের অন্যতম। তার চিত্রপটে উঠে এসেছে আবহমান বাংলার অনির্বচনীয় সৌন্দর্য।
 
কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে তার জন্ম, তখন তাদের সম্পদের জৌলুস না থাকলেও শিক্ষার কদর ছিল। বাবা আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী ছিলেন সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা। মা সরফুন্নিসা চৌধুরানী।

আঁকাআঁকির প্রতি দুর্বলতা ছিল ছোটবেলা থেকেই। ঢাকায় আর্ট ইন্সটিটিউট হয়েছে শুনে ভর্তি হলেন সেখানে। ১৯৪৯ সালে আর্ট ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে কাইয়ুম চৌধুরী শিক্ষা শেষ করেন ১৯৫৪ সালে। পাস করে কোনো চাকরিতে যোগ না দিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থায়, বইয়ের প্রচ্ছদ, সচিত্রকরণ প্রভৃতি।

 ১৯৫৭ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন আর্ট ইন্সটিটিউটে। পরে সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে যোগ দেন শিল্পী কামরুল হাসানের ডিজাইন স্টোরে। ১৯৬০ সালে আর্ট ইন্সটিটিউটের ছাত্রী তাহেরা খানমের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ১৯৬২ সালে সারা পাকিস্তানে চিত্র প্রদর্শনীতে কাইয়ুম চৌধুরীর শিল্পকর্ম প্রথম পুরস্কার পান।

দেশের পাশাপাশি বিদেশের অসংখ্য চিত্র প্রদর্শনীতেও তিনি অংশ নেন। ‘একুশে পদক’-এর পাশাপাশি তিনি পেয়েছেন সুলতান পদক, ষষ্ঠ বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, শেলটেক পদক, বই ইলাস্ট্রেশনের জন্য পেয়েছেন লিপজিগ পুরস্কার। এ ছাড়া বইয়ের প্রচ্ছদ অংকনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র স্বর্ণপদক প্রদান করে।

জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।