প্রাণভিক্ষার বিষয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে : মুজাহিদের পরিবার


প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ক্ষমা চাইতে পারেন না। প্রাণভিক্ষার যে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে তা  মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন মুজাহিদের পরিবার। তাদের দাবি, আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করে তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন।

শনিবার বিকেল তিনটায় মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর জাগো নিউজকে বলেন, এধরণের সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারেন না। প্রাণভিক্ষার বিষয়টি নিয়ে জেল ও সরকার কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করেছে।

তার দাবি, দণ্ডাদেশের পর পারিবারিকভাবে যখন আমরা বাবার সঙ্গে দেখা করি তখন তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ গত দুই দিনেও দেখা করার সুযোগ দেননি।

জেল ও সরকার কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে দাবি করে মুজাহিদ ছেলে মাবরুর বলেন, তারা নিজেরাই মিডিয়াকে জানাচ্ছেন বাবা(মুজাহিদ) ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টি খোলাসা হওয়া দরকার। তিনি যদি ক্ষমাই চাইবেন তাহলে আইনজীবীদের বলতেন। এরপর না হয় সরকার ও জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানাতে পারতো। কিন্তু তা না করে নিজেরাই মিডিয়াকে জানিয়ে মিথ্যাচার করে পরিবেশ ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি আবারো আইনজীবীদের সঙ্গে দেখার সুযোগ দেয়ার দাবি করেন।

তবে এখানে উল্লেখ্য যে, জেল কর্তৃপক্ষ, আইন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ দুজনই লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। লিখিত আবেদনের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে গেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই কর্মকর্তা।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার সর্বোত্তম দেওয়ানসহ অপর এক জেল কর্মকর্তা শনিবার দুপুর ২টা ৪০মিনিটের দিকে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। তাদের হাতে একটি ফাইল ছিল যেখানে লেখা-‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি, তারিখ-১৯ নভেম্বর ২০১৫।’
 
এর আগে শনিবার সকালে তানভির আহমেদ ও মো. আশরাফ হোসেন নামে দুই  ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ দুই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়টি জানান।

জেইউ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।