রিয়াদ হত্যা : ২২ দিন ধরে সোহেলকে খুঁজে চলেছে পুলিশ


প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর মতিঝিল ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রিয়াদ হোসেন খুনের ২২ দিন অতিবাহিত হলেও মালিক সোহেল রানাকে খুঁজেই চলেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, সম্ভাব্য সব জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সোহেলের খোঁজ মিলছে না।
 
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বোতন কর্মকর্তারা বলছেন, সোহেল বিদেশে পালাতে পারে নি। দেশেই কোনো স্থানে লুকিয়ে আছেন। খুব শিগগিরই সোহেল পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।
 
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে যোগাযোগ করে হলে ডিএমপি’র ওয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, রিয়াদ হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সোহেল, জসিম, কবির ছাড়াও অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় জসিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। জসিমের জবানবন্দিতে রিয়াদ হত্যায় সোহেলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
 
ওসি আরও বলেন, ‘ওয়ারী বিভাগীয় পুলিশ ছাড়াও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র্যাবসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা সোহেলকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’ খুব শিগগিরই তিনি ধরা পড়বেন ।
 
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, সোহেল প্রথমে হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা ফন্দি-ফিকির করেছে। তবে ঘটনা তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বেরিয়ে আসে তখন থেকে তিনি পলাতক। এ ঘটনায় তিন আসামি মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর হোটেল ম্যানেজার ও মালিক দুজনই পলাতক রয়েছেন।
 
ডিএমপি’র গণমাধ্যম শাখার এ উপ-কমিশনার আরও বলেন, সোহেল ও ম্যানেজারকে ধরতে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে। পালিয়ে কতদিন থাকবে? হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতায় যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ১৫ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর জবানবন্দি দিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। পলাতক থাকলেও আদালতে চার্জশিট হবে।
 
সোহেল বিদেশে নয় দেশেই কোথাও রয়েছেন জানিয়ে ডিএমপির ওয়ারী জোনের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার নুরুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, তদন্ত ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সোহেল দেশেই অবস্থান করছে। সোহেলের কোনো পাসপোর্ট নেই। খুব শিগরিরি তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
 
উল্লেখ্য, মোবাইল চুরির অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর কর্মচারী রিয়াদকে মারধরের পর গুলি করে হত্যা করেন ঘরোয়া হোটেল মালিক সোহেল। এরপর নিহত রিয়াদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালান।
 
তবে হোটেলের অন্যান্য কর্মচারীর মাধ্যমে ঘটনাটি প্রচার হয়ে যায়। পরে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যার সঙ্গে জড়িত হোটেল মালিক সোহেলকে শনাক্ত করে।

জেইউ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।