শিশু পরিবার নিয়ে ভিন্ন কথা বললেন দুই অফিস


প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

হবিগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমাজসেবা অফিস।

শিশু পরিবারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, সম্প্রতি জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক সোয়েব হোসেনের কু-নজর পড়ে শিশু পরিবারের উপর। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি শিশু পরিবারের উপর পূর্ণ আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেন। এতিমদের ভরণ-পোষণ ও অন্যান্য আর্থিক বরাদ্দের উপরও তার কু-নজর পড়ে। কিন্ত শিশু পরিবারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। ফলে তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে তিনি শুরু করেন তার গোপন মিশন।

তারা আরও জানান, বে-নামে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠাতে শুরু করেন বিভিন্ন দফতরে। শিশুদের গোপনে তার অফিসে ডেকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিরোধী নানা পরামর্শ দিতে থাকেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানের শিশুদের কারও কারও আচার আচরণে ব্যাপক নেতিবাচক পরিবর্তন আসে। শিশুরা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলা ভাঙতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যায় ফেলার জন্য তিনি কয়েকজন শিশুকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে দুই শিশু পালিয়েও যায়। তার প্ররোচনায় যে কোনো সময় আরও শিশু পালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোয়েব হোসেনের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং তিনি বার বারই অসহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

শিশু পরিবারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহ ফখরুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, উপ-পরিচালক সোয়েব হোসেন চৌধুরী বিধি বহির্ভূত অনেক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ছাত্রদের নষ্ট করার জন্য প্রয়োজনে টাকাও খরচ করেন। তিনি জেলার দায়িত্বের পাশাপাশি সদর উপজেলার দায়িত্বেও আছেন। তার পরের অবস্থানেই রেখেছেন নিজের স্ত্রীকে। শিশু পরিবারের সংস্কারের টাকার ভাগ নিয়ে ঠিকাদারকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেন। এসবের প্রতিবাদ করায় তিনি শিশু পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেন।

জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক সোয়েব হোসেন চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, আমি অভিভাবক। কোনো অভিভাবকই সন্তানের ক্ষতি চায় না। এটি আমিও চাই না। প্রকৃতপক্ষে কিছুদিন আগে ৩টি শিশু হারিয়ে যায়। বিষয়টি তারা আমাকে জানায়নি। আমি হঠাৎ গিয়ে জানতে পারি এ খবর। পরে তদন্ত করে তা আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। এটি নিয়েই হয়তো তারা এ অভিযোগ করেছে।

এখলাছুর রহমান খোকন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।