আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর


প্রকাশিত: ০৬:০২ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৪

আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী ও জনতার মধ্যে সংহতির প্রকাশ ঘটেছিল। রাষ্ট্রীয় জীবনের এক অরাজক ও বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং রাজনৈতিক শূন্যতার মাঝেই সেদিন এ বিপ্লব ঘটেছিল। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দিনটিকে পালন করছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে।

তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দিনটিকে সৈনিক হত্যা দিবস, কর্নেল তাহের হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলাদা বাণী দিয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর খোন্দকার মোশ্‌তাক আহমাদ ক্ষমতা নেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি ২০শে আগস্ট সামরিক শাসন জারি করেন। ৩রা নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খোন্দকার মোশ্‌তাক সরকার উৎখাত হয়। তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়ার রহমানকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

৬ই নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বিচারপতি সায়েমকে প্রেসিডেন্ট করেন। এ ঘটনার পর ঢাকা সেনানিবাসে জোয়ানদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দেয়। তারা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। সেদিন দেশের এক ক্রান্তিকালে সিপাহি জনতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার মঞ্চে নিয়ে আসেন।

১৯৭৫ সালের পর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হলেও ১৯৯৬তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ছুটি বাতিল করে। ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকার ছুটির পুনর্বহাল করলেও ১/১১-র তদারক সরকার আমলে তা ফের বাতিল করা হয়। এদিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।