মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী উৎসব মঙ্গলবার
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ও সর্ববৃহৎ কাত্যায়নী পূজা আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে মাগুরায়। বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত এ উৎসব ১৭ নভেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে। পাঁচ দিনের পূজায় মেলা চলবে মেলা এক মাস ধরে।
দূর্গা পূজার ঠিক এক মাস পর এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সময়ের ব্যবধান ছাড়া দূর্গা পূজার সঙ্গে এই পূজার আর কোনো পার্থক্য নেই।
একমাত্র মাগুরা ছাড়া আর কোথাও এত জাঁকজমকের সঙ্গে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয় না। ৫০ এর দশকে মাগুরার ব্যবসায়ী মতিন মাঝি সর্বপ্রথম এই পূজার সূচনা করেন। পরবর্তীতে শহর এবং বর্তমানে সারা জেলায় মোট ৬২টি মণ্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পূজা উপলক্ষে মাগুরা পরিণত হয় উৎসব নগরীতে।
দৃষ্টিনন্দন তোরণ ও আলোক সজ্জা পূজার কদিন মাগুরাকে মাতিয়ে রাখে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভূটান, থেকেও অনেক দর্শনার্থী এই পূজা ও মেলা দেখতে মাগুরায় ভিড় জমান। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ঢল নামে মাগুরায়। মাগুরা পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায়।
শহরের স্মৃতি সংঘ, বটতলা, সাতদোহা, চঞ্চল বাবার আশ্রম বৈদ্যবাটি ও বাটিডাঙ্গার মণ্ডপ প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। এবারের পূজায় বিশেষ আকর্ষণ কাচের তোরণ ও ডাল দিয়ে তৈরী প্রতিমা। ভিড় ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ প্রশাসন অন্যান্য জেলা থেকে ফোর্স নিয়ে আসে। প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষায় গলদঘর্ম হয়ে উঠে।
ইতোমধ্যে মাগুরায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মাগুরার জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, পূজা মণ্ডপ কমিটির প্রতিনিধিরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সভায় পূজা উদযাপন উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) এহসান উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও পুলিশের কড়া নজরদারি থাকবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ আনসার মোতায়েন থাকবে। এছাড়া মেলা চলাকালীন ব্যাবসায়ী ও বিদেশি নাগরিকসহ সর্বস্তরের মানুষের বিশেষ নিরাপত্তা দেবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস