প্রকাশককে হত্যাচেষ্টা:ফোন ট্র্যাকের মাধ্যমে আসামি শনাক্তের চেষ্টা


প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের প্রকাশকসহ তিনজনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। এঘটনার তিন দিন পরেও কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা।

এর আগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কর্ণধার আহমেদুর রশিদ চৌধুরী টুটুলসহ ৩ জনের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। অপর দুজন হচ্ছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও লেখক তারিক রহিম এবং কবি ও লেখক সুদীপ কুমার বর্মন (রনদীপন বসু)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, আহত এবং সন্দেহভাজন কয়েকজনের গত কয়েকমাসের কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, যারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা এর আগেও বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই সম্প্রতি কারা কারা এই প্রকাশনায় আসতো সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এদিকে টুটুলের প্রকাশনার আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দীর উপর নির্ভর করেই চলছে তদন্তকাজ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাসেল ও শক্তির সঙ্গে কথা বলেছে তদন্তকারী কয়েকটি সংস্থা। আহতরা শঙ্কামুক্ত হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশ প্রযুক্তির পাশাপাশি ম্যানুয়ালি তদন্তকাজ পরিচালনা করে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।’

এদিকে সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পুলিশের মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল মীর জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্তে আমরা এখনো এগোতে পারিনি। তবে চেষ্টা করছি। এপর্যন্ত কোনো গ্রেফতার নেই।’

আহত তিনজনকে এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঢামেক নিউরো সার্জারি ইউনিট-১ এর ইনডোর মেডিকেল অফিসার (আইএমও) উজ্জ্বল কুমার সাধুখা জাগো নিউজকে বলেন, তারেকের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। তার বাম হাতটি বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি অর্থোপেডিক চিকিৎসকরা কেওয়্যার দ্বারা হাড়গুলোর জয়েন করার চেষ্টা করছেন। ২-৩ দিন পর আবারো তার হাতে ড্রেসিং করতে পারেন বলে জানান তিনি।

উজ্জ্বল কুমার সাধুখা আরো জানান, তারেককে লক্ষ্য করা গুলিটি এখনো পেটের ভেতরে রয়েছে। তবে গুলির জন্য তার কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে টুটুলের শারীরিক অবস্থা ‘শঙ্কামুক্ত’ উল্লেখ করে তিনি জানান, টুটুল শঙ্কামুক্ত হলেও তার হাই প্রেসার, ডায়েবেটিকস, হাইপারটেনশন ও হৃদরোগ রয়েছে। চিকিৎসকরা তার ডায়েবেটিকস কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করছেন। হৃদরোগ বিভাগের ডাক্তাররাও তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন সুদীপ কুমার বর্মনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. কে এম রিয়াজ মোর্শেদ জানান, তিনি প্রথম থেকেই আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এখন মোটামুটি সুস্থ।

এআর/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।