তজুমদ্দিনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অা. হাফিজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ সংর্ঘষ হয়।

সম্পাদক প্রার্থী অ্যাড. বাছেদ সমর্থিত গ্রুপ ঘোষিত কমিটিকে মেজর হাফিজের পকেট কমিটি অাখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখান করেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন। উপজেলা সম্মেলন না করে জেলা বিএনপির অফিস চত্বরে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এরপর সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিবুল্লাহ নাগরকে সভাপতি ও জাকির হোসেন হাওলাদারকে সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় নেতা মেজর ( অব.) হাফিজ উদ্দিন কমিটি ঘোষণা করে। কমিটি ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মিন্টু, চাচাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সিরাজ উদ্দিন, কৃষক দল সভাপতি জাহির হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আমিনুল ইসলাম বাসেদ গ্রুপ প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ নিয়ে শুরু হয় হাতাহাতি চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই সংঘের্ষে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদল সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনিও আহত হন। একই কথা জানান সাবেক যুবদল সভাপতি ইয়ারুল আলম লিটন।

অ্যাড. বাসেদ জানান, মেজর হাফিজ ঢাকায় বসে কমিটি করে তা গতকাল সম্মেলনে ঘোষণা দেন। ১৮ বছর আগে ইউনিয়ন কমিটির কয়েকজনকে দিয়ে তা সমর্থন করার চেষ্টা করেন। তারা ওই কমিটি প্রত্যাখান করে বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছে বিচার দাবি করেছেন।

অন্যদিকে, জেলা বিএনপি সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, সম্মেলনে কিছু নেতা কাঙ্খিত পদ না পাওয়ায় একটু হৈচৈ হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

অমিতাভ অপু/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।