খুব বেশি সমস্যায় নেই চুয়াডাঙ্গা শিশু পরিবার


প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজ সেবা অধিদফতরের পরিচালনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) কেন্দ্রটি ছোটখাটো কিছু সমস্যা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ যাবৎ শিশু পরিবার কেন্দ্রটি থেকে পুনর্বাসিত এতিম নিবাসীর সংখ্যা ৬৭৮ জন।

এর মধ্যে চাকরি ৪৬ জন, বিবাহ ১০৭, ব্যবসা ৪২, অন্যান্য সদনে ৪৭ জন ও অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে ৪৩৬ জনকে। শিশু পরিবারটিতে ১শ জনের অনুমোদিত আসন সংখ্যা থাকলেও বর্তমানে এতিম নিবাসীর সংখ্যা ৯৬ জন।

এর মধ্যে শিশু শ্রেণিতে আছে ছয়জন, প্রথম শ্রেণিতে আটজন, ২য় শ্রেণিতে দুই জন, ৩য় শ্রেণিতে ১৫ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ১১ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ১৫, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঁচজন, সপ্তম শ্রেণিতে ১১ জন, অষ্টম শ্রেণিতে সাতজন, নবম শ্রেণিতে ছয়জন, দশম শ্রেণিতে ছয়জন, একাদশ শ্রেণিতে দুইজন এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে একজন। শিশু পরিবারটিতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি দর্জি বিজ্ঞান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও চর্চা করা হয়। এখানকার নিবাসীরা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একাধিক পুরস্কার ঘরে এনেছে।

Chuadanga

বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিশু পরিবারটিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। শিক্ষার্থীরাও খুব আনন্দের সঙ্গেই মনোযোগ সহকারে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান শুনছেন। এসময় কথা হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা খাতুনের সঙ্গে। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামে। তার মা ও বাবা দুজনেই মারা গেছেন। তার নানি এখানে তাকে রেখে গেছেন। সে জানায়, এখানে খুব ভালো আছি। কোনো সমস্যা নেই। ভালোভাবে পড়ালেখা করছি।

কথা হয় নবম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া খাতুনের সঙ্গে। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার সোনাপুর গ্রামে। তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার পর তার মা এখানে তাকে রেখে গেছেন। সোনিয়া জানায়, শিক্ষকদের পিতা-মাতা সুলভ এবং স্নেহভরা আচরণের জন্য মনেই হয় না যে, এতিমখানায় আছি।

তবে বৃহস্পতিবার শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. নাসির উদ্দীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি কয়েকটি সমস্যার কথা জাগো নিউজকে জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি নিবাসীর জন্য মাসে দুই হাজার ৬শ টাকা বরাদ্দ আছে। এর মধ্যে ২ হাজার টাকা খাওয়া বাবদ এবং ৬শ টাকা দিয়ে প্রসাধনি, সাবান, পোষাকসহ অন্যান্য খরচের সংঙ্কুলন করতে হয়। যেটা মাত্র ৬শ টাকা দিয়ে সম্ভব হয় না।

নিবাসীদের জন্য চারতলা বিশিষ্ট ডরমেটরি ভবনের উপরে উঠার সিঁড়িগুলো ভেঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এটা সংস্কার করা প্রয়োজন। ডরমেটরি ভবনের একেবারে পাশে পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণ করা দরকার। এছাড়া এখানকার নিবাসীদের জন্য দুইজন খালাম্মার মধ্যে ১ জন ঢাকা আজিমপুর মনি নিবাসে এবং একজন ফরিদপুর শিশু পরিবারে প্রেষণে কর্মরত আছেন। এ কারণে এখানে কোনো খালাম্মা না থাকায় রাতে নিবাসীদের অনেক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়।

 সালাউদ্দীন কাজল/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।