মানবতার বার্তাবাহক ছিলেন জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী


প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৫

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেছেন, জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী বেলায়তি ধারার বাহক। তিনি ছিলেন কোথাও প্রতিবাদী আবার কোথাও নিরব যোদ্ধা। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। এক কথায় মানবতার বার্তাবাহক ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্ম শরাফতের সাধক সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর ২৭তম ওফাত দিবস উপলক্ষে“ সমাজ সংস্কারক শাহানশাহ হযরত জিয়াউলহক মাইজভান্ডারী (কঃ) শীর্ষক” সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন ,মাইজভান্ডারী তরিকাই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুফী তরিকা। জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী সুফীবাদকে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। সূফীতত্ত্ব দিয়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে হয়েছেন গ্রহনযোগ্য। মাইজভান্ডারী সূফীবাদই পারে বর্তমান সমাজকে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করতে।

তিনি বলেন, মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য মাইজভান্ডারী তরিকার অনুসরণ একান্ত প্রয়োজন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও মাইজভান্ডারী গোষ্টির ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের সচিব এ এন এম মুমিন’র সভাপতিত্বে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সমাজ সংস্কারক শাহানশাহ হযরত জিয়াউলহক মাইজভান্ডারী (কঃ) শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ আবদুল মান্নান চৌধুরী।

এছাড়া ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড.তৌহিদ হোসেন চৌধুরী, চবি’র দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমএফ এনায়েত হোসেন,ড. সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক পরিচালক প্রশাসন মো. গোলাম রসুল, মাসিক আলোকধারার সম্পাদক মাহবুবুল আলম।

এসকেডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।