ডেঙ্গুজ্বর হলে করণীয়
এডিস মশার কামড়ের কারণে ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে। এই এডিস মশা সাধারণত ভোরে সূর্য ওঠার আধঘণ্টার মধ্যে ও সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আধঘণ্টা আগে বেশি কামড়ায়। তাই সকাল ও সন্ধ্যা বেলা মশার কামড় থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। পাশাপাশি এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণই হচ্ছে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো সাহায্য করে না। জ্বর কমানোর জন্য রোগী শুধুমাত্র প্যারাসিটামল সেবন করতে পারে। আক্রান্ত রোগীকে বেশি বেশি তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন-পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, তাজা ফলের রস ও শিশুদের মায়ের দুধ ইত্যাদি রোগীর জন্য পথ্যের মত কাজ করে।
অনেক ক্ষেত্রে আবার ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। আর এ পানিশুন্যতায় কোষের ভেতরের তরল কমে যায় এ কারণে কোষের চারপাশের রক্তনালিতে চাপ পড়ে। রক্তনালীতে চাপের কারণে দেহের ভেতর শুরু হয় ইন্টারনাল ব্লিডিং বা রক্তক্ষরণ আর এ জন্য রক্তের প্লেটলেট বা অনুচক্রিকা কমতে থাকে। এই অনুচক্রিকা কমার কারণে দেহে রক্ত জমাট বাধতে পারে না ফলে রক্তক্ষরণ আরও বাড়তে থাকে ও রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
দেহে এভাবে প্লেটলেট কমতে থাকলে একসময় শক সিনড্রোমের কারণে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তাই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের প্লেটলেটের মাত্রা জানতে হবে ও প্রয়োজনে বাইরে থেকে রোগীর দেহে প্লেটলেট সরবরাহ করতে হবে। ডেঙ্গুজ্বর হলে আতংকিত না হয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।
এইচএন/আরআইপি