শূন্য রানেই ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের
শুরুতেই হোঁচট। লজ্জার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। শূন্য রানেই হারাল তিনটি উইকেট। দলের স্কোরসিটে কোনো রান যোগ না হতেই তামিম ইকবালের বিদায়! এরপর দলকে বিপদে রেখে রানের খাতা না খুলে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার শামসুর রহমান শুভ। আবার শূন্য রানেই ব্যক্তিগত ইনিংসের ইতি টানেন মুমিনুল হকও। আর তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ০ রান।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। সূচনাটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১৯ রানের মাথায় বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভুসিমুজি সিবান্দা।
তার পথ অনুসরণ করেছেন জিম্বাবুয়ের আরেক তারকা ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় শাহাদাতের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন তিনি। জিম্বাবুয়ের ৫৩ রানের মাথায় আরো একটি উইকেটের পতন হয়। এ সময় তাইজুল ইসলামের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে যাত্রা করেন সিকান্দার রাজা (২৫)।
তাইজুলের তৃতীয় শিকার হয়ে এবার বিদায় নিলেন চাকাভা (১০)। তার পথ অনুসরণ করেন চিগুম্বুরা। তিনি রানের খাতা খুলতেই পারেননি। তাইজুলের বলে আউট হয়েছেন চিগুম্বুরা। ৯২ রানের মাথায় তাইজুলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্রেগ আরভিন (১০)। এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করলেন বাংলাদেশের উদীয়মান বোলার তাইজুল ইসলাম।
সাকিব কেন উইকেটবঞ্চিত থাকবেন। তার ঘূর্ণিতে কাবু হলেন জন নিয়ম্বু। তাইজুলের ষষ্ঠ শিকার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা। কোনো রানের পাতা খুলতে পারেননি তিনিও। এরপর টেন্ডাই চাতারা ও তাফাজওয়া কামুঙ্গোজির উইকেট দুটি শিকার করেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার ৩৯ রানে ৮ উইকেট নেন বাংলাদেশি এই স্পিনার।
আর তাতে জিম্বাবুয়ে ১১৪ রানে অলআউট হয়। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১০১ রান। কেননা প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৪ রানে এগিয়ে ছিল।