হাসপাতালের বাইরে রোগী দেখবেন না ডাক্তাররা
সাতক্ষীরায় কোনো ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ডাক্তাররা।
১৭ সেপ্টেম্বর অপারেশনে রোগীর মৃত্যু ও পাঁচ ডাক্তারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা প্রত্যাহার ও ডাক্তার-নার্সদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে তারা হাসপাতালের বাইরে কোনো রোগী দেখা এবং সিজার অপারেশন করবেন না বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিসও বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছে।
এদিকে, রোগীদের সেবা প্রদানে অনীহা দেখাচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা এমন অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। অপারেশনের রোগীকে নানা অজুহাতে খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত চারজন রোগীকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযোগ রোগীদের।
সম্প্রতি, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুর্নীতির অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. এস জেড আতীকসহ ৫ ডাক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের একতা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. দেবদুলাল সরকারসহ তিন ডাক্তার, দুই নার্স ও হাসপাতালের মালিকসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরার ক্ষুব্ধ সাধারণ ডাক্তাররা সোমবার থেকে একত্রিত হয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ ও প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করা বন্ধ করে দিয়েছে।
সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, রোগী মারার জন্য আমরা অপারেশন করি না। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রোগী অপারেশনে মারা যেতেই পারে। তাই বলে আমাদের নামে হত্যা মামলা করা হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, কাজ না করলে সফলতা আসে না। কিন্তু, আমরা তো ইচ্ছা করে আর মানুষ মারি না।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, সাধারণ ডাক্তারদের ধর্মঘটে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নৈতিক সমর্থন আছে। আমরা চাই পেশাগত নিরাপত্তা। আমরা মানুষকে হয়রানি করতে চাই না।
চিকিৎসকরা তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করেছে। কিন্তু, সরকারি হাসপাতালে আমাদের সেবা অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জাগো নিউজকে জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে বলে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন।
এমএএস/আরআইপি