আবারো চালু হলো শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র


প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

হবিগঞ্জের শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দুটি ইউনিট অগ্নিকাণ্ডে বিকল হওয়ার ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারো তা চালু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ তিনটি বুসিংয়ের মধ্যে দুটি পরিবর্তন এবং একটি মেরামত করার পর বিকেলে ট্রান্সফরমার চালু করা হয়। বিকেল ৫টায় চালু হয় উৎপাদন কেন্দ্র। চালু করার পর কোনো ধরনের সমস্যা এখনও দেখা দেয়নি।

শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ট্রান্সফরমারের একটি বুসিং ইনসুলেটর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বুসিং ইনসুলেটরটি পরীক্ষার জন্য টঙ্গীতে পাঠানো হয়েছিল। শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেন্দ্রে একটি বুসিং ইনসুলেটর মজুদ থাকায় ধারণা করা হয়েছিল সেটি পরিবর্তন করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যাবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন  ট্রান্সফরমারের তিনটি বুসিং পরিবর্তন করতে। ফলে অতিরিক্ত ২টি বুসিং সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করা হয় এ্যানার্জিপ্যাক ও আরপিসিএল কোম্পানির সঙ্গে। সর্বশেষ ময়মনসিংয়ের শম্ভুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে দুটি বুসিং পাওয়া যায়। সেখান থেকে আনা হয় একটি বুসিং। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ একটি বুসিং মেরামত করা হয়। সোমবার থেকে বুসিং পরিবর্তন ও মেরামতের কাজ চলে। বুধবার কাজ শেষ হলে মেশিন এনে ট্রান্সফরমারের তেল শোধনের কাজ শুরু হয়। মেরামত কাজের নেতৃত্ব দেন পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল খালেক, শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক দুর্য্যাতি প্রসাদ সেন। স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তারা কাজটি সম্পন্ন করেন।

শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক দুর্য্যােতি প্রসাদ সেন জানান, বুসিং পরিবর্তন ও তেল শোধন শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রান্সফরমার চালু করা হয়। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। পরে বিকেল ৫টায় উৎপাদন কেন্দ্র চালু করা হয়।

১৯৬৮ সালে স্থাপিত এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৯টি ইউনিটের মধ্যে অনেক আগেই ৭টি ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০০০ সালে স্থাপিত ৩০ মেগাওয়াট করে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৮ ও ৯নং ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই ইউনিট দুটির ট্রান্সফরমারের বুসিং ইনসুলেটর হঠাৎ করে বিকট শব্দে ফেঁটে আগুন ধরে যায়। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। নতুন মেশিন স্থাপনের ১৫ বছর পর এ সমস্যা দেখা দেয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/ এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।