কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষগ্রহণ ২১ সেপ্টেম্বর


প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষগ্রহণ শুরু হবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘ ১০ বছর পর রোববার আলোচিত এ হত্যা মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (বরখাস্তকৃত) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের পৌর (বরখাস্তকৃত) মেয়র জি.কে গৌছসহ ৩২ আসামির বিরুদ্ধে এ চার্জ গঠন করা হয়।

রোববার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান মামলার চার্জ গঠন করেন।

অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, হরকাতুল জিহাদের (হুজি) মিজানুর রহমান ওরফে মিঠু, বদরুল আলম, রিপন, মাজেদ ভাট, বিপুল, মিজান, মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুস সালাম, মহিবুল­াহ ওরফে হবি। তারা সবাই কারাগারে আটক আছেন।

জামিনে থাকা আট আসামিরা হলেন, জিয়া পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম আব্দুল কাইয়ুম, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন, সাহেদ আলী, আয়াত আলী, সেলিম মিয়া, জয়নাল ওরফে মুমিন ও জালাল উদ্দিন।

পলাতক আসামিরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি সফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, হাফিজ মাওলানা এয়াহিয়া, মো. কাজল মিয়া, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মো. বদরুল, চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ছোট ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, মহিবুর রহমান ও আব্দুল জলিল।

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই মামলায় কারান্তরীণ ১৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ১১টায় শুরু হয় শুনানি। টানা তিন ঘন্টার শুনানি শেষে আদালত দুপুর ২টায় উলে­খিত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

আদালত সূত্র জানায়, কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠন এরই মধ্যে ৯ বার পিছিয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ছিল কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠনের সর্বশেষ তারিখ। তবে আসামি কারাবন্দি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অসুস্থ থাকায় এবং তাকে আদালতে হাজির না করায় ওই দিন চার্জ গঠন হয়নি।

ওই দিন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন এবং আরিফুল হকের পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সূত্র মতে, রোববার মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। আগে থেকেই মেয়র আরিফুলকে সিলেট কারাগারে আনা হয়। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

তবে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আরিফুল হক চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এর আগে গত ২১ জুন, ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩, ১০, ১৮, ২৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সকল আসামি আদালতে হাজির করতে না পারায় চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায় ৯দফা। গতকাল রোববার ৩২ সব আসামির মধ্যে ২২ আসামির উপস্থিতিতে এ চার্জ গঠন করা হল।

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর বলেন, আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তারিখ পিছিয়ে ছিলেন। অবশেষে কিবরিয়া হত্যার চার্জ গঠন হল।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ।

ছমির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।