বাগেরহাটে গৃহবধূর চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা


প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৫

বাগেরহাটে ফাতেমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীর হাতে নির্যাতনের চার দিন পর ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে গতকাল বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফাতেমা বেগম রামপাল উপজেলার সিংড়াবুনিয়া গ্রামের আইউব আলীর মেয়ে। বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মৌচাক এলাকায় থাকতেন বলে জানা গেছে।

গৃহবধূর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আট বছর আগে রামপাল উপজেলা সদরের গাববুনিয়া গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় তার ওপর নির্যাতন করত স্বামী। দুই বছর আগে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে তারা ঢাকায় চলে যায়। তখন থেকেই স্ত্রীর বেতনের পুরো টাকা তার স্বামী হাফিজুর রহমান নিয়ে নিত। এতে বাধা দিলে তার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করত তার স্বামী।

সর্বশেষ গত সোমবার গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে বাজার করে বাসায় ফেরার পর বেতনের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার ওপর নির্যাতন চালায় ও তার দুটি চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্ট করে। এতে ফাতেমা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার তিন দিন পর জ্ঞান ফিরলে পরিবারকে জানান ফাতেমা। এর পর ফাতেমার মা ঢাকা থেকে তাকে নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
      
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাতেমা জানান, বেতনের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় হাফিজুর আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমি এখন চোখে দেখতে পারছিনা। আর যেন কোন মেয়ের জীবনে এমন না হয়। আমি তার বিচার চাই।

অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, মাস খানেক আগে ফতেমা ঢাকায় আলাদা বাসা নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বাইরে থাকতে শুরু করে। ফাতেমা তার কোন কথা শুনতো না। বেতনের টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ফাতেমা করেছে তা সঠিক নয়। আর এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে মারপিট করার কথা হাফিজ স্বীকার করেন। তবে চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনা ফাতেমার নিজের সাজানো বলে দাবি করেন হাফিজুর।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মঈনউদ্দিন মোল্লা জানান, শরীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার দুই চোখেই গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। তার চোখ দুটি কালো হয়ে গেছে। এখন তার চিকিৎসা চলছে।

শওকত আলী বাবু/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।