পশ্চিমবঙ্গে বাম নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ


প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৫

পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাজ্যের বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসু আহত হয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা ময়দান সংলগ্ন ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড ও হাওড়ার ফোরশোর রোডে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়েছে বাম বিক্ষোভকারীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতা ও হাওড়ার চারটি পয়েন্টে বাম নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বিধানসভা থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে মিছিল নিয়ে আসেন বাম বিধায়কেরা। সেখানেই ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। পুলিশ মিছিলকারীদের প্রশাসনিক ভবনের দিকে যেতে বাধা দিলে সংঘর্ষে জড়ায় বাম নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুপক্ষের ইট ছোঁড়াছুঁড়িতে বামপন্থী নেতা-কর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হন ।

এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসু। পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম নেতারা।

রানি রাসমণিতে সূর্যকান্ত মিশ্র হুঁশিয়ারি দেন, আমরা আজ হয়তো তিন ঘণ্টা রাস্তায় থাকব। কিন্তু যদি জোর করে আটকান তা হলে এর পরে ২৪ ঘণ্টাই বিক্ষোভ সামলাতে হবে। এদিকে তৃণমূলের কঠোর সমালোচনা করেন বিমান বসু।

উল্লেখ্য, কৃষকের ফসল ন্যায্যমূল্যে কেনা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ঋণ মওকুফ, জমি অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ৯ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচি পালনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাম নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এরপরই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।