পিরোজপুরে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে পিরোজপুরের সাফা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পিরোজপুর স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রণজিৎ চন্দ্র মিস্ত্রী বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাফা ডিগ্রি কলেজের বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ তার দায়িত্ব পালনকালে গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো প্রকল্প কমিটি ও ক্রয় কমিটি গঠন না করে ৬২ লাখ ৬১ হাজার ৪০৮ টাকার বিল ভাউচার দাখিল করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ধানী সাফা শাখা থেকে ৩৫ হাজার টাকা যৌথ স্বাক্ষর না নিয়ে একক স্বাক্ষরে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণকৃত ৩ লাখ ২০ হাজার ৩১০ টাকা অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেন যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট প্রতিবেদনে আপত্তি করেছেন। তাছাড়া নানা দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগের জন্য কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদকে একাধিক বার শোকজ করেন।
ওই শোকজের কোনো জবাব না দেয়ায় গত ৫ আগস্ট কলেজের গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুর্নীতি অনিয়ম তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে পনের দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এছাড়া ওই সভায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক রণজিৎ চন্দ্র মিস্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রণজিৎ চন্দ্র মিস্ত্রী গত ১৬ আগস্ট পিরোজপুর বিজ্ঞ জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে ৫(২) ধারা মতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হয়রানি করার জন্যই মামলা করা হয়েছে।
হাসান মামুন/এসএস/আরআইপি