ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ হতে পারে না


প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, আমাদের প্রতিপক্ষ চিনতে হবে। ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ কখনোই ছাত্রলীগ হতে পারে না। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ হতে পারে না। যুবলীগের প্রতিপক্ষ যুবলীগ হতে পারে না। আমাদের প্রতিপক্ষ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, পেট্রোল বোমাবাজরা এবং জামায়াত-বিএনপি। এদেরকে রুখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় এদের প্রতিহত করা সম্ভব।

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা এখন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্তের কথা বলছেন। কিন্তু সেসময় তো আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন। কেন তখন সুষ্ঠু তদন্ত করেননি। কেন জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলেন। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হয়। আপনাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। খালেদা জিয়া একজন ভণ্ড, খুনি। তার মুখে গণতন্ত্র মানায় না।

তিনি বলেন, আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা লাগে। পেট্রলবোমা মেরে জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় না। সন্ত্রাস দিয়ে কখনো জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় না।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াতের চুপ থাকার বিষয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে যখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তখন সেসব দল চুপসে গিয়েছিল। কিন্তু জিয়া ক্ষমতায় এসে তাদের আবার চাঙা করে। বর্তমানেও একই অবস্থা চলছে। ফুটবল যেমন হাওয়া না থাকলে চুপসে যায় বিএনপি-জামায়াতও ঠিক সেভাবেই চুপসে গেছে। তবে তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে।

ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে শাহজাহান খান বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক সারা বাংলার ছাত্রলীগের কর্মীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। তারা কি যুদ্ধ করেছে? মারামারি করেছে? তাহলে এত মারামারি কেন? ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ নিয়ে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীর সাম্প্রতিক সময়ে করা বিরূপ মন্তব্যের সমালোচনা করেন ছাত্রলীগ নেতারা। সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেক বলেন, ছাত্রলীগের বিপক্ষে বলা এখন ফ্যাশনে দাঁড়িয়েছে। কতিপয় মন্ত্রী সবসময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলে আসছেন। এটা কখনোই কাম্য নয়। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, যারা ছাত্রলীগের সাবেক হয়ে যান এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তারা সবসময় ছাত্রলীগের সমালোচনা করেন। এসব নেতারাই একেক সময় একেকভাবে ছাত্রলীগকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এখন সমলোচনা করেন। তিনি এসব নেতাদের সুবিধাবাদী হিসেবে উল্লেখ করেন।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাবি শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

এমএইচ/একে/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।