শেয়ার কেলেঙ্কারি : সাক্ষীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি


প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

পুঁজিবাজার বিষয়ক বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির দুই মামলার সাক্ষী মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন। সোমবার তার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ধার্য থাকলেও তিনি উপস্থিত না থাকায় এ পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন আগামী বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

জানা গেছে, বিএসইসির স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের ১/১৫ ও ২/১৫ (পুরাতন মামলা নং ৩৫৯৭/৯৯ ও ৩৫৯৮/৯৯ ) মামলার দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ সোমবার পূর্ব নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ার কারণে এ মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চিক টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় কোম্পানিসহ তিন আসামি। আসিমিরা হলেন চিক টেক্স লিমিটেড, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাকসুদুর রসুল, ইফতিকার মোহাম্মদ। আসামিরা ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির নামে আট লাখ ২৮ হাজার ৪৬৪টি এবং আট লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে বাজারে শেয়ার কেনাবেচা করে।

অনৈতিকভাবে শেয়ারের দাম বেশি পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে। এটি ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ২১ ধারা ক্ষমতায় ঘটিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ উঠে আসে। যা ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ১৭ (ই) ধারা লঙ্ঘন।

অপরদিকে প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার (মামলার পুরাতন নং ৩৫৯৮/৯৯, নতুন নং ২/১৫) কোম্পানিসহ আসামি পাঁচজন। তারা হলেন প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেড, কোম্পানির চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক সৈয়দ এইচ চৌধুরী, আনু জাহাঙ্গীর।

আসামিরা ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির নামে মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সু, বেক্সিমকো ফার্মা কোম্পানির শেয়ার কারসাজি মাধ্যমে বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ১৭ (ই) ধারা লঙ্ঘন।

এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।