বুধবার রাঙামাটিতে হাটবাজার বর্জন কর্মসূচি


প্রকাশিত: ০৭:১৬ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ২৯ জুলাই সকাল-সন্ধ্যা রাঙামাটি জেলাব্যাপী হাটবাজার বর্জন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। ওইদিন সাপ্তাহিক হাটবার কর্মসূচি সকাল ছয়টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।

কর্মসূচি চলাকালে জেলার সব হাট ও বাজারে জরুরি ওষুধের দোকান খোলা ও ওষুধ কেনাবেচা ছাড়া বাজারে আসা-যাওয়া, সব ধরনের পণ্য কেনাবেচা এবং দোকানপাট খোলা রাখা থেকে বিরত থাকার জন্য পার্বত্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি। বাজার ও শহরতলী ছাড়াও যাবতীয় অলিগলিতেও কেনাবেচা ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে করে অবসান ঘটে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলা দীর্ঘ প্রায় দুদশকের রক্তক্ষয়ী ও সশস্ত্র সংঘাতের। কিন্তু সরকার দীর্ঘ ১৮ বছরে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় পাহাড়িদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় গত বছর ২৯ নভেম্বর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা সরকারকে চলতি বছর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সময়-সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার দাবি জানান। এতে সরকার এগিয়ে না আসায় দাবি আদায়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় জনসংহতি সমিতি।

আন্দোলনের ব্যাপারে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বলেন, পার্টির প্রধান সন্তু লারমার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পার্বত্য চুক্তি পূর্ণবাস্তবায়নের দাবিতে মে থেকে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলছে। ২৯ জুলাই রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী হাটবাজার বর্জন কর্মসূচি পালিত হতে যাচ্ছে। এর আগে ৩০ জুন কর্মসূচি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলায় জেলা ও উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আন্দোলনের গতি বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলন সফল করতে বিভিন্ন পন্থায় কর্মসূচি দেয়া হবে। সামনে আরো কঠিন কর্মসূচি আসতে পারে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দুর্বার গতিতে আন্দোলন চলবে। এতে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।

এদিকে জনসংহতি সমিতর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুম্ম জনগণের জাতীয় ও আবাসভূমির অস্তিত্ব রক্ষায় এবং জুম্ম জনগণসহ পার্বত্য অধিবাসীদের অধিকারের সনদ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নে জনসংহতি সমিতি নিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে অসহযোগ আন্দোলনে অবতীর্ণ হতে বাধ্য হয়েছে। আন্দোলন সফল না হওয়া তা পর্যন্ত চলবে।   

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।