সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রভাবশালী হচ্ছে বাংলাদেশে
সিলেটে কিশোর রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেছেন, “বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হবার পর থেকে এক্সেস অনেক বেড়েছে। ‘কিন্তু এইভাবে যুক্ত হবা্র ফলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনেরই ফল পাচ্ছি আমরা। আমার মনে হয় এ ধরণের মাধ্যম ব্যবহারের জন্য যে ধরণের ম্যাচুরিটি, মনমানসিকতা, রুচি থাকার কথা ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের মধ্যে সেটা নেই। ফলে অনেক বেশি অপব্যবহার হচ্ছে”।
নেতিবাচক ঘটনার উদাহরণ হিসেবে রামুর ঘটনা উল্লেখ করে অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, “এই মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সবাইকেই সামাজিকভাবে সচেতন হওয়া দরকার। আমার মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া এডুকেশন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সঠিকভাবে সমান মাত্রায় পৌঁছাচ্ছেনা”।
রাজন হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা পৈশাচিক মনোভাব থেকে করেছে। কিন্তু সচেতন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হবার কারণে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল আকারে ছড়িয়েছে ঘটনাটা”।
এখন সব কিছুই মিডিয়া সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করে ফাহমিদুল হক বলেন, “এখন মূল মিডিয়ার বাইরেও সাধারণ মানুষের আপলোড করা ভিডিও নিউজ হয়ে যাচ্ছে। আর চাঞ্চল্যকর হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে । ফলে মূল মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমগুলো অনুসরণ করছে”।
সিটিজেন জার্নালিজম সার্বিকভাবে সাংবাদিকতায় একটা নতুন ধরণের মাত্রা এনেছে বলে মনে করছেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।
এসকেডি/আরআইপি