ভারতে পুলিশে নারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব


প্রকাশিত: ০৭:২৮ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ভারতের পুলিশ বাহিনীতে মহিলাদের সংখ্যা অন্তত ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ওই দপ্তরের মন্ত্রী মানেকা গান্ধী দিল্লিতে জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে পুলিশ যাতে মহিলাদের অধিকার ও মর্যাদা সম্বন্ধে সচেতন হয় সে জন্যই এই উদ্যোগ জরুরি এবং ইতিমধ্যেই কোনো কোনো রাজ্যে সেই কাজ শুরুও হয়ে গেছে। নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা অবশ্য বলছেন, সংখ্যা বাড়ানোর চেয়েও বেশি জরুরি হলো নারীরা পুলিশ বাহিনীতে যাতে উপযুক্ত গুরুত্ব পান সেটা নিশ্চিত করা।

ভারতে ২০১৩ সালের পরিসংখ্যানে দেশের মোট প্রায় ষোলো লাখ পুলিশ কর্মী আছেন তার মধ্যে মাত্র ৮৪ হাজারের মতো মহিলা অর্থাৎ প্রতি ২০ জন পুলিশের মধ্যে একজন নারী। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখন বলছে, তারা চায় প্রায় প্রতি তিনজন পুলিশের মধ্যে একজনই হবেন নারী যাতে নারীদের অধিকারের প্রতি পুলিশ আরও বেশি সম্মান দেখায় এবং থানায় এসে মহিলারা অন্যায়ের প্রতিকার পেতে পারেন।

কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী এদিন দিল্লিতে ঘোষণা করেন, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। মিস গান্ধী জানান, দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীকেই তিনি চিঠি লিখেছেন যাতে পুলিশ বাহিনীতে মহিলাদের সংখ্যা অন্তত ৩০ শতাংশ করা হয়। এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গুজরাটে এরই মধ্যে এই উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে, উড়িষ্যাও শিগগিরি এই কাজ শুরু করছে।

ভারতে পুলিশ বিভাগ রাজ্য সরকারের অধীন, আর তাই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলোকে বোঝাতে মিস গান্ধী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলছেন।

ভারতে নারী আন্দোলনের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা অনেকেই প্রাথমিকভাবে মন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা সেই সঙ্গেই বলছেন শুধু নারী পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোটাই সমাধান নয় বাহিনীতে যাতে তারা যথাযথ গুরুত্ব পান এবং নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট ভূমিকাটা পালন করতে পারেন সেটা দেখাটাও জরুরি।

কলকাতায় একটি নারী অধিকার সংস্থার নেত্রী শাশ্বতী ঘোষ যেমন বলছিলেন, আকারে নারী হলেই যে সেই পুলিশরা মেয়েদের প্রতি সংবেদনশীল হবেন আমাদের অভিজ্ঞতা অবশ্য তা বলে না। তবে হ্যাঁ, মেয়ে পুলিশদের সামনে মেয়েরা কিছুটা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাদের অসুবিধার কথা খুলে বলতে পারেন সেটা আমরা দেখেছি। - বিবিসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।