পুলিশের কাণ্ড!


প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ২৩ জুন ২০১৫

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিনা অপরাধে এক স্কুলছাত্রকে মারধর করে আহত করেছেন এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। ওই স্কুলছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে পুলিশের কর্তব্য ও দ্বায়িত্ববোধ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আহত ওই ছাত্রের নাম মনোজ অধিকারী। সে আগৈলঝাড়ার বড় মগড়া গ্রামের অসীম অধিকারীর ছেলে ও জোবারপাড় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বড় মগড়া গ্রামে একটি অভিযোগের তদন্তে যায় থানার এএসআই মকবুল। এসময় তিনি মনোজ অধিকারী (১০)কে ওই ঘটনার বিবাদীদের ঘর চিনিয়ে দিতে বলেন। এরই মধ্যে মনোজের কাকা বাড়ির মোবাইলে কল করে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে মানোজ ওই ফোন রিসিভ করে তার কাকির কাছে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এএসআই মকবুল হোসেন মনোজকে ডেকে এনে বেদম মারধর করে আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মনোজকে স্থানীয় প­ল্লী চিকিৎসকের কাছে নিলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি মনোজকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে মনোজকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিল্পী সমদ্দার মনোজকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন।

এএসআই মকবুল বলেন, কয়েকবার তাকে ডাকার পরেও সে কাছে না আসায় মনোজকে থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে। সে মারামারির ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। অভিযোগে তার নাম আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগে তার নাম নেই। থাপ্পড় মারা ভুল হয়েছে স্বীকার করে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসা করাতে বলেছেন বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জেনে ওই এএসআইর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনায় প্রবেশনারি অফিসার ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা বলেন, শিশু মারধর আইনত অপরাধ। যদি ওই শিশু আইনগত প্রতিকার চায় তবে তাকে আইনগত সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এসএস/আরআই/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।