শিয়া শহর দখলে এগোচ্ছে সুন্নিরা


প্রকাশিত: ০৩:৪৫ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৪

ইরাকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে সুন্নি যোদ্ধারা। ইসলামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড গ্রেটার সিরিয়া বা আইসিস।

দেশটির বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে এবং সেখানকার অনেক মানুষ অব্যাহত লড়াইয়ের ফলে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আইসিসের যোদ্ধারা মসুল শহর দখলের পর সুন্নি অধ্যুষিত নয় (শিয়া অধ্যুষিত) এমন অঞ্চলগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গত এক মাসে ইরাকের মসুল, তিকরিতসহ দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নেয় আইসিস যোদ্ধারা।
জাতিসংঘ ও ইরাক সরকারের তথ্য মতে, জুন মাসেই অন্তত ২ হাজার ৪৬১ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত শহর সিনজারে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীরা জানান যে শহর এবং গ্রাম থেকে তারা পালিয়ে এসেছেন সেগুলো ধারাবাহিকভাবেই আইসিস যোদ্ধরা দখল করে নিচ্ছেন। শিয়া, ক্রিশ্চিয়ান এবং কুর্দিরা ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসলামি জঙ্গি গ্র“প আইসিস সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা (‘খেলাফত’) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।

ইরাকি বাহিনী নিয়ে আইসিসর ডাটাবেজ : ইরাকের সরকারি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সব তথ্য নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছে আইসিস। শুক্রবার বিবিসি তাদের অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছে। কুর্দিদের একটি শরণার্থী শিবির থেকে মসুল শহরের সাবেক নেতা বিবিসিকে জানিয়েছেন, আইএসআইএল দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে এবং তাদের যেন সহজেই চিহ্নিত করা যায় সেজন্য একটি ডাটাবেজও তৈরি করছে তারা। তিনি আরও জানাচ্ছেন, সেস কর্মকর্তা ও সেনাদের আইসিসের সামনে হাজির করা হবে এবং আইসিসের জারি করা ইসলামী শাসন মেনে নিতে বাধ্য করা হবে, নতুবা তাদের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। মসুল থেকে পালিয়ে আসা কুর্দি নেতা বাশার আল খালিকি বলছেন, আইএসআইএলের তালিকাভুক্ত সরকারি বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যদি তাদের খেলাফত শাসন না মানে তাহলে তাদের হত্যা করা হবে। এমনকি মসুলে এমন অনেক কর্মকর্তা নিখোঁজও হয়েছেন।
সিরিয়ার সর্ববৃহৎ তেলক্ষেত্র আইএসআইএলের দখলে : ইরাক সীমান্তে অবস্থিত সিরিয়ার সর্ববৃহৎ তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইএসআইএলের (ইসলামিক স্টেট ইন সিরিয়া অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট) সদস্যরা। আরেকটি বিদ্রোহী সংগঠন বৃহস্পতিবার তাদের হাতে তেলক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয় বলে জানিয়েছে একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা। খবর আলজাজিরার।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আল কায়দার অর্থায়নে চলা নুসরা ফ্রন্ট গত বছর ওই তেলক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। বৃহস্পতিবার তারা কোনো রকম গুলি বিনিময় ছাড়াই তেলক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণ আইএসআইএলের হাতে তুলে দেয়। তবে সংস্থাটির দেয়া বিবৃতিটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আলজাজিরা। ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কমান্ডার হাম্মাম নামে এক ব্যক্তি বলছেন, ‘আমরা কোনো ধরনের যুদ্ধ ছাড়াই এর (তেলক্ষেত্র) দখল নিয়েছি। তারা ইঁদুরের মতো পালিয়ে গেছে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।