চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া যেতে করণীয়


প্রকাশিত: ০৮:০৪ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪

চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হয় এমন অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া একটি। একারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দেশটির প্রচলিত আইনে যথেষ্টই সুরক্ষা পান। এদেশের চিকিৎসাসেবার মান নিয়েও উদ্বেগ নেই।

অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মত উন্নত দেশগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা চিকিৎসকগণ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা দেন এখানে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চিকিৎসা ব্যয় যেখানে দিনে দিনে আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে, সেখানে মালয়েশিয়া সারা বিশ্বের রোগীদের জন্য কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিচ্ছে।  পশ্চিমা দেশগুলোয় চিকিৎসা নিতে যে পরিমাণ খরচ হয় তার চেয়েও কম খরচে মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা নেয়া এবং ছুটি কাটানো দু’টিই সম্ভব।

উন্নত থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি বিদেশী রোগীরা পান সেটি হচ্ছে মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকসহ সবধরনের কর্মীই ইংরেজী কথোপকথনে সক্ষম।

হাসপাতালের কাছাকাছি থাকার জায়গা নির্বাচন করতে হবে। মাঝারি মানের হোস্টেলগুলোয় আরামদায়ক বিছানার পাশাপাশি ওয়াটার হিটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে। বেশি সাশ্রয়ী হোস্টেলে এসব সুবিধা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর উচ্চমানের হোস্টেলগুলোয় থাকার ব্যবস্থা যে যথেষ্ট উচ্চমানের সেটা বলাই বাহুল্য। অবশ্য অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই থাকার ব্যবস্থাও করে।হাসপাতালগুলোয় মুসলিম রোগীদের জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার:

১.পূর্বে চিকিৎসা নিয়ে থাকলে ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন, এক্স-রে রিপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র নেয়া হল কিনা।
২.ক্রেডিট কার্ডের মেয়াদ আছে কিনা। প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার জন্য করণীয় জেনে রাখা।
৩.অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হতে পারে, তাই অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি সম্পর্কে আগেই ধারণা রাখা।
৪.বিমা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমত রাখা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।