অতিরিক্ত গরমে ক্লান্তি কাটাতে যা করবেন


প্রকাশিত: ০৭:৫৪ এএম, ২৫ মে ২০১৫

অতিরিক্ত গরমে দেহের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দেহ থেকে ঘাম আকারে পানি নিঃসরণ হয়। ফলে আবহাওয়া গরম হবার সাথে সাথে আমরা শরীর থেকে পানি হারাতে শুরু করি এবং এর সাথে হারাই কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন লবণ। এর ফলে আমরা ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্ত অনুভব করি, এর সঙ্গে অনেকসময় যুক্ত হয় মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি উপসর্গ। চলুন জেনে নেয়া যাক, অতিরিক্ত গরমে ক্লান্তি কাটাতে আমাদের করণীয়-

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ২.২ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। বাইরে বেরোনোর পূর্বে এবং বাইরে থেকে ফেরার পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে আপনার দেহে পানির সমতা বজায় থাকবে।

২. কালো কিংবা গাঢ় রঙের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। সাদা কিংবা হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন, এতে আপনি সূর্যের তাপ কম শোষণ করবেন এবং পোশাকের ভেতর পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের পথ থাকবে যা আপনার দেহকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং ঘামের পরিমান কমাবে।

৩. বেশি করে রসালো ফল খাবার চেষ্টা করুন। গ্রীষ্ম কালে হাতের কাছেই পাওয়া যায় এমন অনেক ফল যেমন তরমুজ, আনারস ইত্যাদিতে প্রচুর পানি বিদ্যমান। এসব ফল খেলে দেহে সঠিক পরিমানে পানির যোগান বজায় থাকে।

৪. খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার স্যালাইন পাওয়া যায়, এসব স্যালাইনে সুষম আকারে লবনের মিশ্রণ থাকে, বিশুদ্ধ পানিতে এ ধরনের স্যালাইন তৈরি করে খেতে পারেন; অথবা এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিনি এবং এক চিমটি খাবার লবন মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার দেহে লবন ও পানির ভারসাম্য বজায় থাকবে।

৫. যারা ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটান এবং অধিক শারীরিক পরিশ্রম করেন তারা অধিক পরিমানে ঘামেন ফলে পানি খাবার ব্যাপারে তাদের অধিক সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

৬. কোমল পানিও এবং তথাকথিত এনার্জি ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। এসব পানিওতে যদিও যথেষ্ট পরিমানে পানি বিদ্যমান তবে এগুলো অধিক পরিমানে খাওয়া যায় না, ফলে পিপাসা মিটলেও শরীরে পানির ঘাটতি থেকে যায় এবং কিছুক্ষণ পর আপনি আবারও তৃষ্ণার্ত অনুভব করবেন।

৭. গরম আবহাওয়ায় শরীরে পানির পরিমান ঠিক রাখার পাশাপাশি চুল, ত্বক এবং চোখের প্রতিও হতে হবে যত্নবান, কারন সূর্যালোক এবং উষ্ণতা আপনার এসব অঙ্গের ক্ষতিসাধন করতে পারে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।