হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৩:১২ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৪

আবারও হতাশ করল টাইগাররা। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে টানা হেরেই চলেছে মুশফিকের দল। বছর জুড়ে ওয়ানডেতে টানা হারের বৃত্তে বন্দি থাকল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

টানা ১২ ম্যাচে হারের পর এবারও সে বৃত্ত ভাঙতে পারলো না টাইগাররা। সিরিজে ধবলধোলাই এড়াতে সোমবার জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু ভাগ্যদেবী সঙ্গে না থাকায় জয়ের স্বাদটা অজানাই রয়ে গেল বাংলাদেশের।

শেষ ম্যাচে ৯১ রানে হারে সফরকারী বাংলাদেশ। গত বছরের ৩ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর আর কোনো জয়ের দেখা পায়নি মুশফিকরা। জয় নামের সে সোনার হরিণের দেখা মিলছে না টাইগারদের। জয় যেন এখন অধরা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রান জমা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ২৪৭ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনটি বিভাগে একসাথে ভালো করতে পারছে না টাইগাররা। সোমবার ব্যাটিংয়ের সামন্য উন্নতি হলে বোলিংয়ে নিজেদের দুর্বলতা দেখিয়েছে মুশফিকের দল।

তবে সেন্ট কিটসে বাংলাদেশি পেসাররা দাপট দেখায়। মাত্র ১২ রানে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরত পাঠায় মাশরাফি বিন মর্তুজা ও আল-আমিন হোসেন। এরপরই পুরো দিনটাকে নিজেদের করে নেয় ক্যারিবিয়ানরা।

আর তাদের নায়ক দিনেশ রামদিন ও ড্যারেন ব্রাভো। তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড ২৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে পাহাড় সমান সংগ্রহ এনে দেন। দুই ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

দিনেশ রামদিন ১২১ বলে ৮টি চার ১১টি ছক্কায় ১৬৯ রান করেন । অন্যদিকে বাহাতি ড্যারেন ব্রাভো ১২৭ বলে ৭টি চার ৮টি ছক্কায় ১২৪ রান করেন।

তবে টাইগারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন দলপতি মুশফিকুর রহিম। স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের করা দশম ওভারের শেষ বলে এগিয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করেন ব্রাভো। স্ট্যাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিকুর রহিম।

তৃতীয় উইকেটের জন্যে ৪৩ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় টাইগারদের। ব্রেক থ্রু এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের ঘূর্ণিতে ১২৪ রানে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ব্রাভো।

এরপর কাইরন পোলার্ড (১০), ড্যারেন স্যামি (১০) ও জেসন হোল্ডার (০) রান করে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ডোয়াইন ব্রাভো ৩ ও সুনিল নারাইন শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে আল-আমিন হোসেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। ৫৯ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, মাহমুদুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক।

রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে ২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানে জেসন হোল্ডারের বলে সাজঘরে ফেরেন আনামুল হক বিজয়। পরের ওভারে রানখরায় থাকা ইমরুলকে ফেরান রবি রামপল। মাত্র ১ রান আসে ইমরুলের ব্যাট থেকে।

তৃতীয় উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়ে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম রানের চাকা সচল রাখেন। এ সময়ে অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। দীর্ঘ ১৮ ইনিংস পর এটি তামিমের প্রথম অর্ধশতক।

২২ তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম। ৬২ বলে ৯টি বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করেন বাহাতি এই ওপেনার। এরপর নিয়মিত বিরিতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৭২ রান করা মুশফিক আউট হন রবি রামপলের বলে। ১১৩ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৭২ রান করে সাজঘরে ফেরেন টাইগার দলপতি। শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর ২৭, নাসিরের ২৬ ও সোহাগ গাজীর ২৪ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ।

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।