চীনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে করণীয়


প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৪

বর্তমান সময়ে চীন পৃথিবীর দ্রুত অগ্রসরমান দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে।  চীনে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমান বৈশ্বিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং বিশেষত শিল্পায়নের সবগুলো ক্ষেত্রকে বিবেচনায় এনে কোর্স প্রনয়ন করা হয়। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে চীনের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক সংখ্যক বিদেশী শিক্ষার্থীকে আকর্ষণ করছে। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার্থে চীনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গমণ করছে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের করণীয় সম্পর্কে নিম্নে আলোকপাত করা হলো-

প্রথমত করণীয়
চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অসংখ্য প্রোগ্রাম অফার করে থাকে। তাই একজন আগ্রহী শিক্ষার্থীর প্রথম কাজ হবে ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে জেনে নিয়ে তার পছন্দের প্রোগ্রামগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরী করা। অতঃপর তাকে চীনের সবচেয়ে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোঁজ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, যত বেশী সংখ্যক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায় ততোই ভালো, কারণ এতে একজন শিক্ষার্থীর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আবেদন পত্র
আবেদনপত্রের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে তার পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় ই-মেইল করে আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তার ঠিকানায় পাঠানোর অনুরোধ করতে পারে। আবেদন ফরম অত্যন্ত যত্নের সাথে পূরণ করতে হবে এবং ঘষামাজা করা চলবে না। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আবেদনপত্র Process করার জন্য একটি নির্ধারিত ফি নিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই ফি ৩৮০ ইউয়ান থেকে ৭৭০ ইউয়ান পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবেদন ফি অগ্রিম পরিশোধ করে তার রশিদটি আবেদন ফরমের ডকুমেন্টের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হয়।

যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদনপত্রের সাথে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র চেয়ে থাকে যেন তারা এসব ডকুমেন্ট থেকে আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। আবেদনপত্রের সাথে যেসব কাগজপত্র পাঠাতে হয় সেগুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো-

- HSK সনদ (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম ব্যান্ড স্কোর ৪-৬, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য ৫-৮) যা চাইনীজ ভাষায় আপনার দক্ষতা প্রমাণ করবে।
- যেসব আবেদনকারী ইংরেজী ভাষাভাষী নন, তাদের TOEFL বা IELTS এর প্রয়োজনীয় স্কোর থাকতে হবে এবং এর সনদ সংযুক্ত করতে হবে।
- এম বি এ প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে GRE বা GMAT এর স্কোর শীট সংযুক্ত করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপকের একাডেমিক সুপারিশপত্র (Recommendation Letter) প্রয়োজন  যেখানে ফোন নম্বর, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি সবকিছু উল্লেখ করা থাকবে।
- প্রার্থীর একটি পূর্নাঙ্গ বায়োডাটা সংযুক্ত করতে হবে।
- ব্যাংক সলভেন্সী সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।
- ৩ কপি সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- আবেদন ফি জমা দেয়ার রশিদ।

কোন কোন পর্যায়ে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়-

আন্ডারগ্র্যাজুয়েট
চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪ বছরের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু আছে। এই প্রোগ্রাম সাধারণ শিক্ষা বা কারিগরী শিক্ষা হতে পারে। এই ৪ বৎসরের অধ্যয়ন শেষে আপনি ব্যাচেলর ডিগ্রী পাবেন কিনা তা নির্ভর করবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হয়েছেন এবং কোন কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তার উপর। মনের রাখা প্রয়োজন ভালো মানের চীনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হওয়া অত্যন্ত কঠিন ও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট
চীনের বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাচেলর পর্যায়ে সফল শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স ও পি এইচডি ডিগ্রী অফার করে থাকে। মাস্টার্সের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ৩ বৎসর অধ্যয়ন করতে হয় এবং পিএইচডি’র জন্য মাস্টার্সের পর আরো ৩ বছর অধ্যয়ন করতে হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।