জিয়া রাজাকারদের মুক্ত করে দেন: আমির হোসেন আমু
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এ দেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। তারা এখনও সক্রিয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধ্বংস করতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছেন তারা। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।
শেখ মুজিবের সময় সাড়ে চার হাজার রাজাকারের বিচার করা হয়। যার মধ্যে বাহান্ন জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। একজনের রায় কার্যকর করা হলেও পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে রাজাকারদের মুক্ত করে দেন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাহাত্তরের সংবিধানকে পুনপ্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই সংবিধানে শূণ্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে সেই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে এদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানের মাটিতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করাই হবে আজকের মুজিবনগর দিবসের শপথ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বেগম জিয়া আপনি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। আপনার সঙ্গে কোন সংলাপ হবে না। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচনও হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার আগামী চার বছর জনগণের আস্থা অর্জন করে আবারও ক্ষমতায় আসবে।
তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও জনতার প্রতি আহবান জানিয়ে আরও বলেন, এদেশে কোন রাজাকার থাকবে না। ঘরে ঘরে গিয়ে শেখ হাসনার দাওয়াত দিতে হবে এবং খালেদা জিয়ার মুখোশ খুলে দিতে হবে।
এদিকে প্রধান বক্তার বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, মুজিবনগর সরকার কোন অস্থায়ী সরকার নয়। মুজিবনগর সরকার হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এদেশের বৈধ, অবৈধ বা সামরিক সরকার যে সরকারের কথাই বলিনা কেন সব সরকারই মুজিবনগর সরকারের ধারাবাহিকতা।
এর আগে শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় মুজিবনগর আম্রকাননে গিয়ে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ দলীয় নের্তৃবৃন্দ।
১০টা ২০ মিনিটে শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আমির হোসেন আমু। এরপর পুলিশ, বিজিবি, আনসার, স্কাউট, গার্লস গাইড ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। কুচকাওয়াজ শেষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মেহেরপুরের সাংসদ অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনসহ আরও অনেক নের্তৃবৃন্দ।
এমজেড/পিআর